ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

২০২৩-এ একাধিক অভ্যুত্থান দেখেছে আফ্রিকা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলে অভ্যুত্থান-বলয়ের পরিধি বাড়ছেই। সবশেষ গত ৩০ আগস্ট গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান হয়। তার কয়েক সপ্তাহ আগেই এ তালিকায় নাম তোলে নাইজার। এ নিয়ে গত তিন বছরে অঞ্চলটিকে আটটি সফল অভ্যুত্থানের সাক্ষী হতে হলো।

সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ২০০৯ সাল থেকে মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোকে। সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন তিনি। এখন গৃহবন্দী। এ অভ্যুত্থান করেছে মূলত প্রেসিডেন্ট বঙ্গোরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখা রিপাবলিকান গার্ড।

এর আগে গত ২৬ জুলাই ইউরেনিয়াম–সমৃদ্ধ নাইজারে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ২০২০ সাল থেকে আফ্রিকায় ১০টি অভ্যুত্থান ঘটেছে। এসব অভ্যুত্থানের বেশির ভাগই হয়েছে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে।

কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে বরং গণতন্ত্রের এ পতনে উল্লাস করতে দেখা গেছে এসব দেশের মানুষকে। রাজপথে অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষ নিয়ে স্লোগান দিয়েছে তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার তথ্যমতে, ১৯৫০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২৪২ বার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। এর মধ্যে এক আফ্রিকা মহাদেশেই হয়েছে ১০৬ বার। আর অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়েছে ২১৪ বার, যেখানে গোটা বিশ্বে এমন চেষ্টা হয়েছে ৪৮৬ বার। অর্থাৎ, অভ্যুত্থানচেষ্টা ও সফল অভ্যুত্থান—উভয় বিবেচনাতেই আফ্রিকার ধারেকাছে অন্য কোনো মহাদেশ নেই।

সম্প্রতি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আবারও এই প্রবণতা বেড়েছে। আফ্রিকা নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত অঞ্চলটিতে আটটি সফল অভ্যুত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে বুরকিনা ফাসোতে মাত্র আট মাসের ব্যবধানে দুবার সেনা অভ্যুত্থান হয়। ২০২১ সালে চাদ ও গিনিতে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে মালিতে দুবার অভ্যুত্থান হয়। সুদানে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর এখনো সেখানে ক্ষমতা দখলের জন্য যুদ্ধ চলছে।

এ ছাড়া ২০২২ সালের বিভিন্ন সময়ে আরও তিন দেশে অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এসব দেশে একই পরিস্থিতির উদ্ভব সামনে হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। দেশগুলো হলো— গাম্বিয়া, গিনি–বিসাও ও সাও টোম অ্যান্ড প্রিন্সিপ।

অনেক ক্ষেত্রে অভ্যুত্থানকারীরা সাধারণ মানুষের সমর্থনও পাচ্ছে। মূলত ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার প্রবণতার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। গিনিতেই যেমন জনগণের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্দে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করে সামরিক বাহিনী। গিনির সেই অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল দেশটির জনতার বড় অংশ। সেনাদের ক্ষমতা দখল উদ্‌যাপন করেছিল তারা।

অগণতান্ত্রিক পন্থায় ও জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলেও আফ্রিকার মানুষ কেন এভাবে সমর্থন জানাচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকায় বেসামরিক নেতৃত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ। সামরিক নেতৃত্ব নিয়ে তাঁদের এ আশাবাদ সে হতাশারই প্রতিফলন।

রুশ ভাড়াটে সেনাদল ভাগনার গ্রুপের তৎপরতার কারণে অনেকে আফ্রিকায় এসব অভ্যুত্থানের পেছনে রুশদের হস্তক্ষেপের কথা বলছেন। আফ্রিকায় ওয়াগনার গ্রুপের সেনাদের উপস্থিতি আছে সেটা সত্য। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড মূলত মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি ও লিবিয়াতে কেন্দ্রীভূত। এই গ্রুপের আফ্রিকায় অবস্থানের মূল কারণ হলো অর্থনৈতিক দস্যুবৃত্তি। স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সরকারের সঙ্গে জালিয়াতির সম্পর্ক গড়ে তুলে তারা সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন করছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সুদানের স্বর্ণ, লিবিয়ার তেল ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের হিরা ও ইউরেনিয়াম প্রকল্পে ওয়াগনার গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার কথা বলা যায়।

এই অভ্যুত্থানকে আরেকটি পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সাহেল অঞ্চলের জিহাদি গোষ্ঠীর উত্থানকে পশ্চিমাশক্তি তাদের চিরাচরিত সংকীর্ণ সামরিক পন্থায় সমাধানের চেষ্টা করেছে। এর অংশ হিসেবে পশ্চিমারা নাইজার ও বৃহত্তর পশ্চিম আফ্রিকায় সেনা মোতায়েন করে। কিন্তু এটি কোনো সমাধান আনেনি। বাস্তবতা হলো—ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্টো বেড়েছে।

অভ্যুত্থানের পেছনে আরও বিচিত্র কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, দুর্বল রাষ্ট্র কাঠামো, শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবনযাত্রার সংকট, বিশালাকার তরুণ জনগোষ্ঠী ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। এ সবকিছু সম্মিলিতভাবে তরুণদের মাঝে হতাশার বীজ বুনে দিচ্ছে ও প্রাতিষ্ঠানিকতার প্রতি তারা আস্থা হারাচ্ছেন। এর ফলে ক্যারিশমাটিক চরিত্রের শক্তিমানেরা তাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৩-এ একাধিক অভ্যুত্থান দেখেছে আফ্রিকা

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলে অভ্যুত্থান-বলয়ের পরিধি বাড়ছেই। সবশেষ গত ৩০ আগস্ট গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান হয়। তার কয়েক সপ্তাহ আগেই এ তালিকায় নাম তোলে নাইজার। এ নিয়ে গত তিন বছরে অঞ্চলটিকে আটটি সফল অভ্যুত্থানের সাক্ষী হতে হলো।

সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ২০০৯ সাল থেকে মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোকে। সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন তিনি। এখন গৃহবন্দী। এ অভ্যুত্থান করেছে মূলত প্রেসিডেন্ট বঙ্গোরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখা রিপাবলিকান গার্ড।

এর আগে গত ২৬ জুলাই ইউরেনিয়াম–সমৃদ্ধ নাইজারে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ২০২০ সাল থেকে আফ্রিকায় ১০টি অভ্যুত্থান ঘটেছে। এসব অভ্যুত্থানের বেশির ভাগই হয়েছে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে।

কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে বরং গণতন্ত্রের এ পতনে উল্লাস করতে দেখা গেছে এসব দেশের মানুষকে। রাজপথে অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষ নিয়ে স্লোগান দিয়েছে তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার তথ্যমতে, ১৯৫০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২৪২ বার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। এর মধ্যে এক আফ্রিকা মহাদেশেই হয়েছে ১০৬ বার। আর অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়েছে ২১৪ বার, যেখানে গোটা বিশ্বে এমন চেষ্টা হয়েছে ৪৮৬ বার। অর্থাৎ, অভ্যুত্থানচেষ্টা ও সফল অভ্যুত্থান—উভয় বিবেচনাতেই আফ্রিকার ধারেকাছে অন্য কোনো মহাদেশ নেই।

সম্প্রতি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আবারও এই প্রবণতা বেড়েছে। আফ্রিকা নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত অঞ্চলটিতে আটটি সফল অভ্যুত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে বুরকিনা ফাসোতে মাত্র আট মাসের ব্যবধানে দুবার সেনা অভ্যুত্থান হয়। ২০২১ সালে চাদ ও গিনিতে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে মালিতে দুবার অভ্যুত্থান হয়। সুদানে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর এখনো সেখানে ক্ষমতা দখলের জন্য যুদ্ধ চলছে।

এ ছাড়া ২০২২ সালের বিভিন্ন সময়ে আরও তিন দেশে অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এসব দেশে একই পরিস্থিতির উদ্ভব সামনে হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। দেশগুলো হলো— গাম্বিয়া, গিনি–বিসাও ও সাও টোম অ্যান্ড প্রিন্সিপ।

অনেক ক্ষেত্রে অভ্যুত্থানকারীরা সাধারণ মানুষের সমর্থনও পাচ্ছে। মূলত ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার প্রবণতার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। গিনিতেই যেমন জনগণের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্দে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করে সামরিক বাহিনী। গিনির সেই অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল দেশটির জনতার বড় অংশ। সেনাদের ক্ষমতা দখল উদ্‌যাপন করেছিল তারা।

অগণতান্ত্রিক পন্থায় ও জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলেও আফ্রিকার মানুষ কেন এভাবে সমর্থন জানাচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকায় বেসামরিক নেতৃত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ। সামরিক নেতৃত্ব নিয়ে তাঁদের এ আশাবাদ সে হতাশারই প্রতিফলন।

রুশ ভাড়াটে সেনাদল ভাগনার গ্রুপের তৎপরতার কারণে অনেকে আফ্রিকায় এসব অভ্যুত্থানের পেছনে রুশদের হস্তক্ষেপের কথা বলছেন। আফ্রিকায় ওয়াগনার গ্রুপের সেনাদের উপস্থিতি আছে সেটা সত্য। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড মূলত মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি ও লিবিয়াতে কেন্দ্রীভূত। এই গ্রুপের আফ্রিকায় অবস্থানের মূল কারণ হলো অর্থনৈতিক দস্যুবৃত্তি। স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সরকারের সঙ্গে জালিয়াতির সম্পর্ক গড়ে তুলে তারা সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন করছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সুদানের স্বর্ণ, লিবিয়ার তেল ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের হিরা ও ইউরেনিয়াম প্রকল্পে ওয়াগনার গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার কথা বলা যায়।

এই অভ্যুত্থানকে আরেকটি পরিপ্রেক্ষিত থেকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সাহেল অঞ্চলের জিহাদি গোষ্ঠীর উত্থানকে পশ্চিমাশক্তি তাদের চিরাচরিত সংকীর্ণ সামরিক পন্থায় সমাধানের চেষ্টা করেছে। এর অংশ হিসেবে পশ্চিমারা নাইজার ও বৃহত্তর পশ্চিম আফ্রিকায় সেনা মোতায়েন করে। কিন্তু এটি কোনো সমাধান আনেনি। বাস্তবতা হলো—ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্টো বেড়েছে।

অভ্যুত্থানের পেছনে আরও বিচিত্র কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, দুর্বল রাষ্ট্র কাঠামো, শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবনযাত্রার সংকট, বিশালাকার তরুণ জনগোষ্ঠী ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। এ সবকিছু সম্মিলিতভাবে তরুণদের মাঝে হতাশার বীজ বুনে দিচ্ছে ও প্রাতিষ্ঠানিকতার প্রতি তারা আস্থা হারাচ্ছেন। এর ফলে ক্যারিশমাটিক চরিত্রের শক্তিমানেরা তাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।