উড়োজাহাজ কেনা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বিমান
- আপডেট সময় : ০৭:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ফ্রান্সের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান-এয়ারবাস থেকে এ-৩৫০ মডেলের বিমান কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং বিক্রি করতে চায় দুইটি ৭৮৭-১০ ও দুইটি ৭৮৭-৯ মডেলের উড়োজাহাজ। এ অবস্থায় উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোম্পানির উড়োজাহাজ সাশ্রয়ী হবে, সেটাই কেনা উচিত।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে অফার নিয়ে আসছে। এখন আমাদের অপশনটা বেড়ে গেল। এতে বিমান লাভবান হবে। কম্পিটিটিভ প্রাইস যেটি সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের কম্পিটিশন থাকবে।’
শফিউল আজম বলেন, ‘বোয়িং থেকে সুনিদিষ্টভাবে তাদের নতুন মডেলের উড়োহাজাজ কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা কার্গো বিমান বিক্রি করতেও আগ্রহী। কিন্তু আমরা নির্দিষ্টভাবে কিছু বলিনি।’
তবে কোন কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনা হবে—তা এখনো ঠিক করতে পারেনি বিমান। এজন্য মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বিমানের ব্যবস্থানা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, ‘আমরা এখনো মাত্র প্রস্তাব পেয়েছি। আমাদের নিজস্ব পদ্ধতি–প্রক্রিয়া আছে। সে অনুযায়ী এখনই কিছু বলার সুযোগ নেই। এটি আমাদের প্রসেসের ভেতর দিয়েই মূল্যায়ন হবে।’ তবে যেটা বিমানের জন্য লাভজনক হবে সেটাই কেনা হবে বলে জানান বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজম।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের এই ছোট বহরে দুই কোম্পানির উড়োজাহাজ খরচ বাড়াবে। তারপরও কম মূল্যে বিমান কেনার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, এয়ারবাস ও বোয়িং কোম্পানির বিমান আগ্রহ দেখানোয় বিমানের অপশন বেড়েছে। বোয়িংয়ে যাবে, না এয়ারবাসে যাবে এটা তাদের সিদ্ধান্ত। দুইটা থাকলেও থাকতে পারে, এটা যায় আসে না। এক্ষেত্রে তারা তাদের বেস্ট পসিবল প্ল্যানটা বের করে এনে দর কষাকষিতে যাওয়া উচিত।
সম্প্রতি জাপানের নারিতা, চায়নার গুয়াংজু, ভারতের চেন্নাইসহ ২২টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। দেশের অভ্যন্তরে চলছে ৮টি রুটে ফ্লাইট। তবে কানাডার টরেন্টো ও যুক্তরাজ্য ছাড়া বিমানের দীর্ঘ রুটে আর কোনো ফ্লাইট নেই। তাই ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের গন্তব্যে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ থাকলেও নতুন রুট বাড়াতে প্রয়োজন আরও অন্তত ১০টি উড়োজাহাজ। এদিকে বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজই বোয়িং কোম্পানির।