প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ফের সরকার গঠন করতে পারলে প্রতিটি জেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হবে। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে দলের কেউ সংঘাত করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান বলেছেন, ভোটে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। নির্বাচনে কোনো সংঘর্ষ বা মারামারি দেখতে চাই না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে সেটিই চাই। গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে না পারলে, বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। এ সময় তিনি বলেন, ‘ভোট চুরির সুযোগ নেই বলে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি’।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির সময় জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করা হয়েছিল। অনেক সংগ্রাম, প্রতিঘাত আমাদের পার করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচারের শিকার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে, সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসি। ’৯৬ থেকে ২০০১ সাল, ’৭৫-এর পরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ।
বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে বেরোনো দল বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির সবকিছুই অবৈধ। ওরা নির্বাচনের কি বোঝে? ২০১৩-১৪ এর মতো আবারও অগ্নিসন্ত্রাস করছে বিএনপি। মানুষের শান্তি ওদের ভালো লাগে না।
বিএনপিকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে বেরোনো দল বল মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে, আর বিএনপি জানে জ্বালা-পোড়াও করতে। ২০১৩-১৪ এর মতো আবারও অগ্নিসন্ত্রাস করছে বিএনপি। বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের হুকুম দিচ্ছে। ওরা গণতন্ত্র বানানই জানে না। মানুষের শান্তি ওদের ভালো লাগে না। তাদের সবকিছুই অবৈধ, ওরা নির্বাচনের কি বোঝে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কত মানুষকে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। আমাদের মা-বোনদের ওপর পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন করেছে। পাঁচবার দুর্নীতিতে তারা বিশ্বে এক নম্বর ছিল। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আমাদের কত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার হিসাব নেই। আমরা নিজেই বারবার তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি। তারপরও আমরা কিন্তু দমে যাইনি, বরং এগিয়ে গিয়েছি। আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, এত বাধা-বিপত্তি, অত্যাচার, নির্যাতন সবকিছু সহ্য করে নেতাকর্মীরা সংগঠনকে ধরে রেখেছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা খাদ্য সেবা নিশ্চিত করি, চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নিই, শিক্ষার ব্যবস্থা করি, বিনামূল্যে বই দেয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা এ দেশের রাস্তাঘাট-পুল ব্রিজ নির্মাণের কাজ হাতে নিই, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করি। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। কারণ, একটা বড় দেশ থেকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব ছিল, আমি বলেছিলাম এটা জনগণের সম্পদ আমি বিক্রি করতে পারি না। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজি হয়ে যান।