০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠান্ডা-কুয়াশায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮২ দেখেছেন

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের দাপট। উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ছেই। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘনকুয়াশা কমলেও টানা ছয়দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৯ থেকে ১০ এর মধ্যে।

এদিকে বরফঝরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ।

দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়ার বলছে আগামী পাঁচদিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

নাটোরে কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। রাত নামলেই বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি নিলেও, কষ্টে আছে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও, রোদের উত্তাপ নেই বললেই চলে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে দুস্থ ও অসহায় মানুষ।

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বিবেচনায় মেহেরপুরে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে ঠান্ডায় যুবুথুবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে কয়েকগুণ।

চুয়াডাঙ্গায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় সবসময়ই শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে দিশেহারা মানুষ। বিশেষ করে পেশাগত কারণে রাতে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ আরও বেশি। এ বছর এখনো পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তীব্র শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দিনমজুরদের শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শহরে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিকশা ও ভ্যান চালকদের যাত্রী পাওয়ার আশায় ভোর থেকে শহরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

মেহেরপুরে কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হতে শুরু করেছে। সবুজ ধানের চারা লালচে আকার ধারণ করেছে। চারা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ করছে কৃষকরা। অতিরিক্ত কুয়াশায় বোরো ধানের চারায় পচন ধরতে শুরু করেছে। লাল হয়ে বসে যাচ্ছে চারা। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ৯টায় কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক বলেন, ‘কুয়াশা অন্যদিনের চেয়ে কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রির সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

এদিকে, শীতের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ১। ঘনকুয়াশা নেই। তবে মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে হিমশীতল বাতাসে কারণে রাতভর কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। ভোরের দিকেই সূর্যের দেখা মেলায় জনমনে স্বস্তি দেখা গেছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ঠান্ডা-কুয়াশায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

আপডেট : ০৭:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের দাপট। উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ছেই। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘনকুয়াশা কমলেও টানা ছয়দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৯ থেকে ১০ এর মধ্যে।

এদিকে বরফঝরা শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে হিম সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ।

দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়ার বলছে আগামী পাঁচদিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

নাটোরে কনকনে শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। রাত নামলেই বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি নিলেও, কষ্টে আছে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও, রোদের উত্তাপ নেই বললেই চলে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে দুস্থ ও অসহায় মানুষ।

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বিবেচনায় মেহেরপুরে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে ঠান্ডায় যুবুথুবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে কয়েকগুণ।

চুয়াডাঙ্গায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় সবসময়ই শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে দিশেহারা মানুষ। বিশেষ করে পেশাগত কারণে রাতে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ আরও বেশি। এ বছর এখনো পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তীব্র শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দিনমজুরদের শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শহরে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিকশা ও ভ্যান চালকদের যাত্রী পাওয়ার আশায় ভোর থেকে শহরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

মেহেরপুরে কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হতে শুরু করেছে। সবুজ ধানের চারা লালচে আকার ধারণ করেছে। চারা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ করছে কৃষকরা। অতিরিক্ত কুয়াশায় বোরো ধানের চারায় পচন ধরতে শুরু করেছে। লাল হয়ে বসে যাচ্ছে চারা। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ৯টায় কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক বলেন, ‘কুয়াশা অন্যদিনের চেয়ে কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রির সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

এদিকে, শীতের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ১। ঘনকুয়াশা নেই। তবে মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে হিমশীতল বাতাসে কারণে রাতভর কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। ভোরের দিকেই সূর্যের দেখা মেলায় জনমনে স্বস্তি দেখা গেছে।