নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে ছাপাখানাগুলো
- আপডেট সময় : ০৭:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে টাঙ্গাইলে ব্যস্ত সময় পার করছে ছাপাখানার সাথে জড়িতরা। দিন রাত এক করে পোস্টার ছাপানোর কাজ করে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত কাজের কারণে কিছুটা বাড়তি আয় হচ্ছে তাদের। এতে খুশি কর্মচারীরা। তবে কাগজ, কালিসহ বিভিন্ন উকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় যথেষ্ট লাভ হচ্ছে না বলে জানালেন ছাপাখানার মালিকেরা।
আগামী ৭ জানুয়ারি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর, টাঙ্গাইলে জোরেশোরে প্রচারে নেমেছেন ৮ আসনের ৫৪ জন প্রার্থী। প্রচারে ব্যবহার হচ্ছে পোস্টার-লিফলেট।
নির্বাচনি এ সব পোস্টার ও লিফলেট তৈরিতে ব্যস্ত ছাপাখানার শ্রমিকরা। তারা জানান, ছাপাখানার কাজ মৌসুম ভিত্তিক। নির্বাচন আসলে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তাই দিনরাত কাজ করে পোষ্টার ও লিফলেট ছাপাচ্ছেন তারা। অতিরিক্ত এ কাজের কারণে পাচ্ছেন বাড়তি টাকা। এতে আনন্দিত শ্রমিকরা।
ছাপাখানার এক শ্রমিক বলেন, ‘সারা বছর টুকিটাকি কাজ থাকে। তবে নির্বাচন আসলে কাজ বেড়ে যায়। তখন দেখা যায় রাতেও কাজ করতে হয়।’ অপর একজন শ্রমিক বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করছি, ওভার টাইম করে এক্সটা একটা ইনকাম করা যায়।’
এদিকে, মালিকরা বলছেন, কাগজ ও কালির দাম বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্খিত লাভ হচ্ছে না।
ছাপাখানার মালিক বলেন, ‘নির্বাচনে কাজ বারে, কাজের চাপ থাকে। তবে অনেকেই বাকি নেওয়া ও কাগজের দাম অত্যাধিক হওয়ায় তুলনামূলক লাভ কম হয়।’
মৌসুম ভিত্তিক এ ব্যবসায় ট্যাক্স ও ভ্যাট কমালে শিল্পটি এগিয়ে যাবে, বলছেন জেলা মুদ্রণ সমিতির নেতারা।
টাঙ্গাইল মুদ্রণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ তারেক পুলু বলেন, ‘এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে গেলে সরকার প্রধানকে আমরা অনুরোধ করবো, ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে দিলে কাগজের দামটা কমে আসবে। তাহলে প্রিন্টিংয়ের স্বাভাবিক মূল্য আমরা পেতে পারি।’
জেলায় ৫০টি ছাপাখানাকে ঘিরে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।