দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশ নারী দলের। কিন্তু রেকর্ড গড়া ম্যাচের পরও জিততে পারেনি টাইগ্রেসরা। ৮ উইকেটের বড় হারে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় এসেছে। সিরিজের শেষ ম্যাচ রূপ নিলো অঘোষিত ফাইনালে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পচেফস্ট্রুমে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২২ রান। বাংলাদেশের হয়ে এদিন শতক হাঁকান ফারজানা হক পিংকী। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শতক হাঁকিয়েছেন পিংকী। শুধু তাই নয় চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুুটি গড়েছেন পিংকী ও ফাহিমা খাতুন। এ দজন ৯২ রানের জুটি গড়ার পথে ভেঙেছেন রুমানা ও শামীমার ৮৫ রানের জুটি।
শেষদিকে আউট হয়ে ফেরার আগে বাংলাদেশের ইনিংসে মূল ভিত গড়ে দেওয়া পিংকি ১৬৭ বলে ১০২ রান করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ফাহিমা খাতুন খেলেছেন ইমপ্যাক্ট ইনিংস। তার ৪৬ রানের ক্যামিও ইনিংস সফরকারীদের বড় পুঁজি এনে দিয়েছে।
২২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৯ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রমীলারা। চার ব্যাটার খেলতে নেমে তিনজন ফিফটি এবং একজন প্রায় ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ১০৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে ফেরেন তাজমিন বার্টস (৫০)। ঠিক পরের ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান অধিনায়ক লরা উলভার্ট (৫৪)।
কিছুটা আশার আলো দেখা বাংলাদেশের বোলিং লাইন আবারও খেই হারায়। আর কোনো উইকেট পায় না। পরে ১১৭ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আন্নেক বোসচ (৬৫*) ও শন ল্যুস (৪৭*)। বাংলাদেশের হয়ে ফাহিমা ও ঋতু একটি করে উইকেট নেন।
এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মোট সংগ্রহ নতুন রেকর্ড গড়েছে। দুই দলের রান ২২২ ও ২২৩ মিলে মোট ৪৪৫ রান হয়েছে। এদিন শতক হাঁকিয়েও জয়ের পাননি পিংকী। সিরিজের শেষ ওয়ানডে মাঠে গড়াবে বেনোনিতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।