১৬ বছর ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হারানোর পর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২-২ সমতায় থাকা সিরিজের শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। ওই ম্যাচে স্পিনার গুদাকেশ মোতি ও ব্যাটার শাই হোপের নৈপূণ্যে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে।
এই নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে টানা তিনটি সিরিজ জিতলো ক্যারিবীয়রা। ইংল্যান্ডের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে হারিয়েছিলো ক্যারিবীয়রা। এই প্রথম দুইয়ের অধিক ম্যাচের সিরিজে হ্যাট্টিক এবং ইংলিশদের বিপক্ষে টানা দুই সিরিজ জয় করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পরের দুই ম্যাচ জিতেছিলো ইংল্যান্ড। এতে ২-২ সমতা নিয়ে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো দু’দল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১১ বলে ১১ রান করে ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলরি শিকার হন জেমস হোল্ডারের।
তিন নম্বরে উইল জ্যাকসকে ৭ রানে থামিয়ে দেন স্পিনার আকিল হোসেন। এরপর ইংল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মোতি। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সল্টকে ৩৮ ও হ্যারি ব্রুক ৭ রানে শিকার হন মোতির। এতে নবম ওভারে ৭০ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
পঞ্চম উইকেটে ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়লেও লিয়াম লিভিংস্টোন ও মঈন আলিকে আগ্রাসী হতে দেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। ৩৮ বলে ৪০ রানের জুটি হবার পর মঈনকে ব্যক্তিগত ২৩ রানে শিকার করেন আকিল। কিছুক্ষণ পর লিভিংস্টোনকে ২৮ রানে বিদায় দেন মোতি।
১২১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর ৩ বল বাকী থাকতে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোতি ২৪ রানে ৩টি, আন্দ্রে রাসেল-আকিল ও হোল্ডার ২টি করে উইকেট নেন।
১৩৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার জনসন চার্লস। ২ ওভারে ২০ রান আসার পর প্রখম ব্যাটার হিসেবে আউট হন আরেক ওপেনার ব্রান্ডন কিং। তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরান ১০ রানে ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন চার্লস।
অষ্টম ওভারে চালর্সকে শিকার করে ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখেন স্পিনার আদিল রশিদ। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২২ বলে ২৭ রান করেন চালর্স।
৫৪ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর ৩৮ বলে ৪১ রানের জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের স্বপ্ন দেখান হোপ ও শেরফানে রাদারফোর্ড। ২৪ বলে ৩০ রান করা রাদারফোর্ডকে আউট করে ইংল্যান্ডকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন রশিদ।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর চাপ বাড়ান রিচ টপলি ও স্যাম কারান। অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে ৮ রানে টপলি এবং রাসেলকে ৩ রানে আউট করেন স্যাম কারান। এমন অবস্থায় শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য ৯ রানের দরকার হলে ম্যাচ জমিয়ে তোলে সফরকারীরা।
পেসার ক্রিস ওকসের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ৩ রান নিয়ে হোপকে স্ট্রাইক দেন হোল্ডার। দ্বিতীয় বলে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন হোপ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৪৩ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলেন হোপ। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন হোল্ডার। ম্যাচ সেরা হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোতি ও সিরিজ সেরা হন ইংল্যান্ডের সল্ট।