দেশে ২৯ ডিসেম্বর সেনাসহ সব বাহিনী টহলে নামবে
- আপডেট সময় : ০৯:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব বাহিনী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবে। তারা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন দায়িত্ব পালন করবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিপত্র জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন, যান চলাচলসহ সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্য মোতায়েন থাকবে। তবে রিটার্নিং ককর্মকর্তা চাইলে সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।
দুর্গম এলাকা হিসেবে ২৫ জেলার ৭২টি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। ১৩টি উপজেলায় কোস্টগার্ড মোতায়েন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের জারি করা এক পরিপত্রে এমন নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, কমিশনের ভেটিং শেষে মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ সংখ্যা বাড়াতে পারবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ আনসার সদস্য, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র্যাব সদস্য, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার সম্প্রতি জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এবার প্রয়োজনে এর চেয়ে বেশি মোতায়েন করা হতে পারে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন। তবে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা এলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ধূমপান করা যাবে না। দিয়াশলাই, লাইটারসহ দাহ্য পদার্থ বহনে কড়াকড়ি থাকবে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বৈদ্যুতিক হিটার ও চুলা ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার, মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
যান চলাচল-
৬ই জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ই জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিক আপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
৫ই জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ই জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ।
তবে, জরুরি প্রয়োজনীয় যান ও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রাপ্ত যান চলাচল করতে পারবে।
অন্যান্য-
৯ই জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করতে পারবেন না কেউ। ভোটগ্রহণের পূর্বের ৪৮ ঘণ্টা ও পরের ৪৮ ঘণ্টা মিছিল মিটিং শোভাযাত্রা করা যাবে না। পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না।