বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধ নিয়ে ফেসবুকে এক বিবৃতি পোস্ট দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই পোস্টে মন্ত্রণালয় বলেছে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের সময় রেলওয়েতে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা, আসন্ন নির্বাচন ও দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র ও জনগণের ওপর সরাসরি হামলা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ইংরেজিতে দেয়া ওই পোস্টে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়িয়ে গেছে; তারা নাগরিকদের শারীরিক ক্ষতি করা ছাড়াও সরকারের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। যখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে তখন সরকার ও বাংলাদেশের মানুষ সন্ত্রাস ও এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এতে বলা হয়, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ শান্তি বজায় রাখতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।
পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একটি অংশগ্রহণমূলক ও অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের উৎসবমুখর মৌসুমে প্রবেশ করেছে। এদিকে জাতি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের জোরদার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করছে।
জনসমর্থন ও রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি অংশ ও তাদের মিত্ররা অবরোধ কর্মসূচি কার্যকর করার জন্য তাদের তৎপরতা জোরদার করেছে, তাদের লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা। বিএনপির এই কৌশলগত পদক্ষেপে সারা দেশে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা বেড়েছে। তাদের বিতর্কিত দাবি আদায়ের জন্য তাদের সমর্থকরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং সরকারের ওপর অযাচিত চাপ প্রয়োগ করার জন্য এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।