ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার। তারপরও কমছে না সবজির দাম। আরেক দফা বেড়েছে সবধরনের মুরগির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর কেজিতে বেড়েছে ৫টাকা। আদা-রসুনের দাম বেড়েছে ৮ টাকা। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, পেঁয়াজ, আর গরুর মাংসের দাম। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপু, মহাখালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকার মতো। প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে , পেঁয়াজের ফুলকলি ৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণে অন্যান্য সবজির উপরে কিছুটা চাপ পড়েছে। এখনো নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। অন্যান্য বছর এমন ভরা মৌসুমে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে নেমে আসে। এ কারণে মানুষ আলু কিনছে কম, অন্যান্য সবজির দিকে ঝুঁকছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় সাইজের রুই মাছ কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের রুইয়ের কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা এবং ছোট সাইজের রুই মাছ কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট রুই মাছ গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে বড় সাইজের রুই মাছের দাম। অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে চিড়িংও।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মাঝারি সাইজের চিংড়ি এ সপ্তাহেও ৬০০ টাকা কেজিতে মিলছে। তবে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা কমে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের ইলিশ। বড় সাইজের পাংগাস ১৮০ ও ছোট সাইজের পাংগাস ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে সিলভার কার্প, কাতল, তেলাপিয়া ও সরপুঁটির দাম।

বড় সিলভার কার্প প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, বড় সাইজের কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা এবং বড় সরপুঁটি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। যা এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় ঠেকেছে। একইভাবে বেড়েছে সোনালি জাতের মুরগির দাম। আগে এ জাতের মুরগির কেজি পাওয়া যেতো ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।

দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে মুরগি বিক্রেতা জয় বলেন, আমরা যেমন দামে কিনি তার চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। ২৬০ টাকায় পাইকারি মুরগি কিনলে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। মুরগি আনতে একটা খরচ, দোকান খরচ, স্টাফ খরচ, নিজের মজুরি, এরপর লাভের চিন্তা করতে হয়। তবে পাইকারি বাজারে আরেকটু কম দামে মুরগি পেলে আমরাও কমাতে পারতাম। দাম কমানোর চাবিতো পাইকারদের হাতে। আমরা তো খুচরা ব্যবসায়ী।

পেঁয়াজের দামে এখনো কোনো সুখবর নেই। বরং দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ক্রেতাদের ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর দেশি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার উপরে।

এদিকে রাজধানীতে প্রতি কেজি গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করেও কোথাও কোথাও ব্যবসায়ীদের ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে খুব বেশি হেরফের হয়নি মাছের দাম।

মাংস বিক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, আমরা ৬০০ টাকার মাংস এ সপ্তাহে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আগামী সপ্তাহে ৭০০ বা ৭৫০ বিক্রি করতে হবে। কিছুই করার নেই। একটি গরু কিনে কাটলে তার খরচ কেজিপ্রতি ৭০০ করেই দাঁড়ায়। আমার এখানে পাঁচজন স্টাফ আছে তাদের বেতন প্রতিদিন এক হাজার করে পাঁচ হাজার গুণতে হয়। এতো লস দিয়ে তো আর ব্যবসা হয় না। এক খলিল ৫৯৫ টাকা বিক্রি করতে পারলেও আমরা পারব না। তিনি প্রতিদিন ১০টা গরু কাটলেও আমরা কাটি একটা বা দুইটা। এভাবে তো আর পুষবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার। তারপরও কমছে না সবজির দাম। আরেক দফা বেড়েছে সবধরনের মুরগির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর কেজিতে বেড়েছে ৫টাকা। আদা-রসুনের দাম বেড়েছে ৮ টাকা। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, পেঁয়াজ, আর গরুর মাংসের দাম। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপু, মহাখালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকার মতো। প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে , পেঁয়াজের ফুলকলি ৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণে অন্যান্য সবজির উপরে কিছুটা চাপ পড়েছে। এখনো নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। অন্যান্য বছর এমন ভরা মৌসুমে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে নেমে আসে। এ কারণে মানুষ আলু কিনছে কম, অন্যান্য সবজির দিকে ঝুঁকছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় সাইজের রুই মাছ কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের রুইয়ের কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা এবং ছোট সাইজের রুই মাছ কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট রুই মাছ গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে বড় সাইজের রুই মাছের দাম। অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে চিড়িংও।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মাঝারি সাইজের চিংড়ি এ সপ্তাহেও ৬০০ টাকা কেজিতে মিলছে। তবে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা কমে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের ইলিশ। বড় সাইজের পাংগাস ১৮০ ও ছোট সাইজের পাংগাস ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে সিলভার কার্প, কাতল, তেলাপিয়া ও সরপুঁটির দাম।

বড় সিলভার কার্প প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, বড় সাইজের কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা এবং বড় সরপুঁটি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। যা এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় ঠেকেছে। একইভাবে বেড়েছে সোনালি জাতের মুরগির দাম। আগে এ জাতের মুরগির কেজি পাওয়া যেতো ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।

দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে মুরগি বিক্রেতা জয় বলেন, আমরা যেমন দামে কিনি তার চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। ২৬০ টাকায় পাইকারি মুরগি কিনলে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। মুরগি আনতে একটা খরচ, দোকান খরচ, স্টাফ খরচ, নিজের মজুরি, এরপর লাভের চিন্তা করতে হয়। তবে পাইকারি বাজারে আরেকটু কম দামে মুরগি পেলে আমরাও কমাতে পারতাম। দাম কমানোর চাবিতো পাইকারদের হাতে। আমরা তো খুচরা ব্যবসায়ী।

পেঁয়াজের দামে এখনো কোনো সুখবর নেই। বরং দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ক্রেতাদের ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর দেশি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার উপরে।

এদিকে রাজধানীতে প্রতি কেজি গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করেও কোথাও কোথাও ব্যবসায়ীদের ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে খুব বেশি হেরফের হয়নি মাছের দাম।

মাংস বিক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, আমরা ৬০০ টাকার মাংস এ সপ্তাহে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আগামী সপ্তাহে ৭০০ বা ৭৫০ বিক্রি করতে হবে। কিছুই করার নেই। একটি গরু কিনে কাটলে তার খরচ কেজিপ্রতি ৭০০ করেই দাঁড়ায়। আমার এখানে পাঁচজন স্টাফ আছে তাদের বেতন প্রতিদিন এক হাজার করে পাঁচ হাজার গুণতে হয়। এতো লস দিয়ে তো আর ব্যবসা হয় না। এক খলিল ৫৯৫ টাকা বিক্রি করতে পারলেও আমরা পারব না। তিনি প্রতিদিন ১০টা গরু কাটলেও আমরা কাটি একটা বা দুইটা। এভাবে তো আর পুষবে না।