০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের মাঝে বৃষ্টির সম্ভাবনা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৯ দেখেছেন

দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ইতোমধ্যেই জেঁকে বসেছে শীত। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে মাঠ-ঘাট, রাস্তাঘাট কিংবা ফসলের ময়দান। সন্ধ্যা নামতেই তাই অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ছে হাট-বাজারগুলোও।

অবশ্য, মাঝে কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এবার শীতে জবুথুবু অবস্থার মাঝেই দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও আগামী ৫ দিনের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ফলে ওই সময়ে শীত অনুভূত হতে পারে বেশ। আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা এবং দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা, এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এছাড়া তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যান্য জায়গায় তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এদিন রাজধানী ঢাকায় সকাল ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এদিকে বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে টানা সাত দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর বেড়েছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এই তথ্য জানান।

আবহাওয়ার তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ৯.৬ ডিগ্রি, বুধবার ১০.১, মঙ্গলবার ৯.৫, সোমবার ৯.৭, রোববার ১০ এবং শনিবার ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আজ শনিবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তাপমাত্রা বাড়ায় ঠান্ডা অনেকটেই কমেছে। লোকজন কিছুটা স্বস্তিতে চলাফেরা করছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টা থেকে তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও আবার বিকেল থেকেই হিমেল বাতাস বইতে থাকে। আর সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রা বাড়ে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়ে সমানতালে।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরও শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

শীতের মাঝে বৃষ্টির সম্ভাবনা

আপডেট : ০৭:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ইতোমধ্যেই জেঁকে বসেছে শীত। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে মাঠ-ঘাট, রাস্তাঘাট কিংবা ফসলের ময়দান। সন্ধ্যা নামতেই তাই অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ছে হাট-বাজারগুলোও।

অবশ্য, মাঝে কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এবার শীতে জবুথুবু অবস্থার মাঝেই দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও আগামী ৫ দিনের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ফলে ওই সময়ে শীত অনুভূত হতে পারে বেশ। আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা এবং দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা, এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এছাড়া তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যান্য জায়গায় তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এদিন রাজধানী ঢাকায় সকাল ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এদিকে বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে টানা সাত দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর বেড়েছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এই তথ্য জানান।

আবহাওয়ার তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ৯.৬ ডিগ্রি, বুধবার ১০.১, মঙ্গলবার ৯.৫, সোমবার ৯.৭, রোববার ১০ এবং শনিবার ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আজ শনিবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তাপমাত্রা বাড়ায় ঠান্ডা অনেকটেই কমেছে। লোকজন কিছুটা স্বস্তিতে চলাফেরা করছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টা থেকে তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও আবার বিকেল থেকেই হিমেল বাতাস বইতে থাকে। আর সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রা বাড়ে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়ে সমানতালে।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরও শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।