ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ইসরায়েল ‘হত্যার লাইসেন্স’ পেয়েছে: আরব লীগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হওয়ার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েল ‘লাইসেন্স’ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল গাইত। মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজায় স্থানীয়ভাবে যুদ্ধ বন্ধে গত ২২ ডিসেম্বর একটি প্রস্তাব পাসের আয়োজন করে জাতিসংঘ। কিন্তু সেই প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরপাত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য আমেরিকা ভেটো দেওয়ার কারণে শুধু ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস হয়। ওই প্রস্তাবে শুধু গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদারের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রস্তাবটি ঝুলে ছিল।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবটির প্রসঙ্গ টেনে আবুল গাইত বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ছিল এ যুদ্ধ বন্ধে আরও সোচ্চার হওয়া।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ এড়ানোর মধ্য দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় গাজাকে চূড়ান্তভাবে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এদিকে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের পর এবার গাজার মধ্যাঞ্চলে স্থল অভিযান জোরদার করছে ইসরায়েল। এলাকাটির নুসেইরাত শিবিরে গত শুক্রবার বোমা হামলায় ফিলিস্তিনি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মধ্য গাজা ছাড়তে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। তবে খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে হামাস যোদ্ধাদের লড়াই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, হামাস নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ যুদ্ধ বন্ধ করবেন না।

অন্যদিকে হামাসও ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারাও জানিয়েছে, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েল ‘হত্যার লাইসেন্স’ পেয়েছে: আরব লীগ

আপডেট সময় : ০৬:১৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হওয়ার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েল ‘লাইসেন্স’ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল গাইত। মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজায় স্থানীয়ভাবে যুদ্ধ বন্ধে গত ২২ ডিসেম্বর একটি প্রস্তাব পাসের আয়োজন করে জাতিসংঘ। কিন্তু সেই প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরপাত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য আমেরিকা ভেটো দেওয়ার কারণে শুধু ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস হয়। ওই প্রস্তাবে শুধু গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদারের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রস্তাবটি ঝুলে ছিল।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবটির প্রসঙ্গ টেনে আবুল গাইত বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ছিল এ যুদ্ধ বন্ধে আরও সোচ্চার হওয়া।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ এড়ানোর মধ্য দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় গাজাকে চূড়ান্তভাবে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এদিকে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের পর এবার গাজার মধ্যাঞ্চলে স্থল অভিযান জোরদার করছে ইসরায়েল। এলাকাটির নুসেইরাত শিবিরে গত শুক্রবার বোমা হামলায় ফিলিস্তিনি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মধ্য গাজা ছাড়তে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। তবে খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে হামাস যোদ্ধাদের লড়াই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, হামাস নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ যুদ্ধ বন্ধ করবেন না।

অন্যদিকে হামাসও ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারাও জানিয়েছে, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।