২০২১ সালে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল)। যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহী ছিল ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো। তবে ফিফা-উয়েফার নিষেধাজ্ঞার ফলে সবাই পিছুটান দিলেও থেকে যায় রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালত থেকে ফিফা ও উয়েফার এ নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি ঘোষিত হওয়ার পর বিশাল অঙ্কের লয়্যালটি বোনাস পেতে যাচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাব দুটো।
গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ফিফা-উয়েফা ইএসএল চালু হতে বাধা দিতে পারবে না বলে রায় দিয়েছে ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালত ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস। তাই লিগটি আয়োজনে আর কোনো বাধা থাকছে না সুপার লিগ কর্তৃপক্ষের। তবে সুপার লিগ কবে নাগাদ আলোর মুখ দেখবে সেটি এখনও জানা যায়নি।
ঐতিহাসিক রায়ের পর আয়োজক কর্তৃকপক্ষ ৬৪ দলের তিন স্তরের ফরম্যাটও ঘোষণা করেছে। আর প্রতিযোগিতাটি মাঠে গড়ালেই রিয়াল ও বার্সার কোষাগারে চলে যাবে ১০০ কোটি ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে। এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্ডো দেপোর্টিভো।
তবে এমন সিদ্ধান্তে কপাল পুড়তে পারে অন্য ক্লাবগুলোর। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দারিও স্পোর্ত ও পালকো২৩ জানিয়েছে, সুপার লিগের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলো একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, কোনো কারণে ক্লাবগুলো খেলতে না চাইলে বা প্রকল্প ছেড়ে চলে গেলে ৩০ কোটি ইউরো করে (৩ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা) জরিমানা দিতে বাধ্য থাকবে। আর এই জরিমানা থেকে প্রাপ্ত অর্থই রিয়াল-বার্সাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিবে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ইউরোপের ১২ ক্লাব নিয়ে প্রথম সুপার লিগ আয়োজনের চেষ্টা করে প্রোমোটার সংস্থা এ২২ স্পোর্টস। যদিও ফিফা-উয়েফার বাধার মুখে প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় ইংলিশ ক্লাব ম্যানইউ, ম্যানসিটি, লিভারপুল, টটেনহাম, আর্সেনাল ও চেলসি, ইতালিয়ান জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও এসি মিলান এবং স্পেনের অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।