বিটিভির ৬০ বছরে পদার্পণ
- আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ তো বটে, গোটা বিশ্বেই বাংলা ভাষার প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। যেটার যাত্রা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। সেই নিরিখে আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ৫৯ বছর পেরিয়ে ৬০-এ প্রবেশ করলো রাষ্ট্রায়ত্ব চ্যানেলটি।
বিটিভি বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। বিটিভি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কলাকুশলী ও শুভার্থীদের মিলনমেলা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইবেন শিল্পী ফরিদা পারভীন, রফিকুল আলম, নকিব খান, নিশিতা বড়–য়া, অনুপমা মুক্তি, রাজীব, সালমা ও ব্যান্ড ‘চিরকুট’। আরো থাকছে ওয়ার্দা রিহাব ও ইভান শাহরিয়ার সোহাগের পরিচালনায় নৃত্য। এছাড়াও দিনব্যাপী বিটিভির পর্দায় থাকবে নানান পরিবেশনা। সকাল ৮টার সংবাদের পর সরাসরি গানের অনুষ্ঠান ‘আজকের সকাল’র বিশেষ পর্বে গাইবেন শিল্পী অনিমা রায় ও আয়েশা জেবিন দীপা। দুপুর ১২টার সংবাদের পর চিত্রশিল্পীদের চিত্রাংকন ও সরাসরি আলোচানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেরামত মাওলা, রফিকুন্নবী, আব্দুল মান্নান। বিকাল ৩টায় থাকছে সরাসরি বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বিটিভি নাটকের একাল সেকাল’। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থাপনায় আড্ডায় থাকবেন ম হামিদ, ডলি জহুর, আব্দুল মান্নান, রওনক হাসান, স্বাগতা ও বৃন্দাবন দাস। এছাড়াও দিনব্যাপী স্বনামধন্য সংগীত শিল্পীদের গানের সংকলন, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের সংকলন, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ডিআইটি থেকে রামপুরা, স্মৃতিচারণ ও শুভেচ্ছা বাণী প্রচার হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের গৌরবোজ্জ্বল ৬০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বিটিভির কলাকুশলী, বিজ্ঞাপন দাতা ও দর্শকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন ডিআইটি ভবনের নিচতলায় টেলিভিশন চ্যানেলটির যাত্রা শুরু। এরপর সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের পরের বছর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটি ভবন থেকে বিটিভিকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে আনা হয়। ১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে পদার্পন করে বিটিভি। বিটিভির সম্প্রচার এখন এইচডি (হাই ডিফিনেশন) এবং টেরিস্ট্রিয়াল, স্যাটেলাইট ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। যুগোপযোগী পরিবর্তনের অঙ্গীকার আর প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে এবার ৬০ বছরে পা রাখছে রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যমটি।
এদিকে বিটিভির জন্মদিনে প্রতি বছরের মতো এবারও চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানের। এতে অংশ নিয়েছেন বিটিভির সাবেক কর্মকর্তা, কুশলী ও শিল্পীরা। বিটিভির শুরু থেকে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন আগত অতিথিরা। ছিল সংগীত পরিবেশনা, পিঠা-পুলির আয়োজন। অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে, চ্যানেল আইতে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন ডিআইটি ভবনের নিচতলায় টেলিভিশন চ্যানেলটির যাত্রা শুরু। এরপর সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের পরের বছর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটি ভবন থেকে বিটিভিকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে আনা হয়। ১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে পদার্পন করে বিটিভি। বর্তমানে এইচডি( হাই ডিফিনেশন) এবং টেরিস্ট্রিয়াল, স্যাটেলাইট ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে দর্শককে সেবা দিচ্ছে বিটিভি।