আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন আসনে অংশ নিচ্ছেন ৩৮২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদের মধ্যে ২২০ জনেরও বেশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে নেমেছেন। নির্বাচনে আসা নৌকার প্রার্থীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছেন এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
শুধু আওয়ামী লীগই নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে আসা ১৪ দলের প্রার্থীদের জন্যও শঙ্কা তৈরি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আবার যে সব আসনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়েছে সেগুলোতেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে পারেন লাঙ্গলের প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ এই আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নেই।
এবার অন্তত ৯৯টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের সব সমীকরণ বদলে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রংপুর বিভাগের অন্তত ১৬টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে দলীয় প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচনে পঞ্চগড়- ১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. নাঈমুজ্জামান ভূইয়াঁ। ভোটে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে নিজ দলেরই মো. আনোয়ার সাদাতের সঙ্গে। আনোয়ার সাদাত পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি নির্বাচন করছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে এবার নৌকা পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য দরিরুল ইসলামের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম। নির্বাচনে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে যুবলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলি আসলামের। তিনি নির্বাচন করছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে।
দিনাজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নিজ দলেরই মো. জাকারিয়া। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া নির্বাচন করছেন ট্রাক প্রতীকে। দিনাজপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এই আসনে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম তারিক। স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর মার্কা ট্রাক। দিনাজপুর-৬ আসনেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই নৌকার প্রার্থী মো. শিবলী সাদিক। ট্রাক প্রতীক নিয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল হক চৌধুরী।
নীলফামারী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. আফতাব উদ্দিন সরকার। এই আসনে জয়ী হতে তাকে অন্তত দুজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মোকাবিলা করতে হবে। এরা হলেন- বিএনএমের প্রার্থী জাফর ইকবাল সিদ্দিকী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমরান কবির চৌধুরী। জাফর ইকবাল বিএনপি থেকে এই আসনে আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর ইমরানের প্রতীক ট্রাক। নীলফামারী-২ আসনে স্বস্তিতে নেই সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। নৌকার এই প্রার্থীকে এবার মোকাবিলা করতে হবে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীনকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নালের মার্কা ট্রাক। নীলফামারী-৩ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রানা মোহাম্মদ সোহেল। কিন্তু তাঁর জয়ের পথে বাধা একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী। আসনটিতে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা। এছাড়াও কেটলি প্রতীকে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের, কাঁচি প্রতীকে যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল এবং ট্রাক প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে আছেন আরেক যুবলীগ নেতা মো. হুকুম আলী খান।
আওয়ামী লীগের ছাড়া নীলফামারী-৪ আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমানের মোকাবিলা হবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোখলেছুল মোমিনের সঙ্গে।
লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকা পাওয়া সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকেও নিজ দলের অন্তত দুই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এরা হলেন ঈগল প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক ও ট্রাক প্রতীক নিয়ে মো. মমতাজ আলী।
রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে দলটির বহিষ্কৃত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙার। এছাড়াও এখানে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন কেটলি প্রতীকে নির্বাচনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান। রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাশেক রহমানকে ট্রাক প্রতীকে টেক্কা দিতে পারেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন সরকার।
কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদকে শঙ্কায় রেখেছেন ট্রাক নিয়ে নির্বাচনে থাকা আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য মো. হামিদুল হক খন্দকার। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. বিপ্লব হাসানকে নিজ দলের অন্তত ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এরা হলেন ঈগল প্রতীকে মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ট্রাক প্রতীকে মো. শহিদুল ইসলাম শালু এবং কাচি প্রতীকে মো. মাছুম ইকবাল।
গাইবান্ধা-৩ আসনে নৌকা নিয়েও স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আসনটিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ঢেঁকি প্রতীকে যুবলীগ নেতা মো. আজিজার রহমান এবং ঈগল প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা মো. মফিজুল হক সরকার। গাইবান্ধা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির কাজী মো. মশিউর রহমানের সঙ্গে ট্রাক প্রতীকে থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে।
রাজশাহী বিভাগের অন্তত ১৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারেন। এর মধ্যে জয়পুরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামছুল আলম দুদু নিজ দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারেন। এরা হলেন কাঁচি প্রতীকে সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্লা এবং ঈগল প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম।
বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাদারা মান্নানের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে কেটলি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা বিএনপির সাবেক নেতা মো. শোকরানার। একইসঙ্গে এখানে আওয়ামী লীগের আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের লড়াইকে চতুর্মুখী আবহ দিচ্ছেন। এরা হলেন- তবলা প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা মোছা: শাহজাদী আলম লিপি এবং ঈগল প্রতীকে দলটির আরেক নেতা কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। বগুড়া-২ আসনটি জাতীয় পার্টির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহকে ছেড়েছে আওয়ামী লীগ। আসনটিতে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আছেন বিএনপির সাবেক নেতা মোছা: বিউটি বেগম এবং কাঁচি প্রতীকে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. আকরাম হোসেন। বগুড়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম তালুকদারের জয়ের পথে বাঁধা আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। এরা হলেন কাঁচি প্রতীকে অজয় কুমার সরকার এবং ট্রাক প্রতীকে খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। বগুড়া-৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে আছেন ১৪ দলের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। তাঁকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে থাকা আওয়ামী লীগের মো. মোশফিকুর রহমান, ঈগল প্রতীকে বিএনপির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র জিয়াউল হক এবং ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আশরাফুল হোসেন আলম বা হিরো আলমকে। বগুড়া-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোস্তফা আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম (বাবলু) এবং বিএনপির সাবেক নেতা ঈগল প্রতীকে মো. সরকার বাদল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলকে মোকাবিলা করতে হবে কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোহা. গোলাম রাব্বানী এবং ট্রাক প্রতীকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মু: জিয়াউর রহমানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মুহা: গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস।
নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে থাকা দলেরই আরেক নেতা মো. খালেকুজ্জামানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নওগাঁ-৪ আসনে এবার ত্রিমুখী ভোটের লড়াইয়ের দেখা মিলতে পারে। এই আসনে নৌকার প্রার্থী মো. নাহিদ মোর্শেদ। প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীক নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহা: ইমাজ উদ্দিন প্রাং এবং আওয়ামী লীগের আরেক নেতা ট্রাক প্রতীক নিয়ে আছেন এস এম ব্রাহনী সুলতান মামুদ।
রাজশাহী-৪ আসনে ভোটের লড়াই হতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য মো. এনামুল হকের মধ্যে। রাজশাহী-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন কাঁচি প্রতীকে নির্বাচনে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য মো. রাহেনুল হক।
নাটোর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলামকে (বকুল) মোকাবিলা করতে হচ্ছে ঈগল নিয়ে নির্বাচনে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবুল কালামকে। নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আহাদ আলী সরকার।
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও কাঁচি প্রতীকে বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুকে মোকাবিলা করতে হবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদকে। পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবিরের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি থেকে বিএনএমে যোগ দেওয়া ডলি সায়ন্তনী। পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মকবুল হোসেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন ট্রাক প্রতীক স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ।
খুলনা বিভাগের ১৪টি আসনের ফল বদলে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে দলের দুই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবিলা করতে হবে। এরা হলেন- ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা সভাপতি আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদিন এবং ট্রাক প্রতীকে সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক জেলা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
কুষ্টিয়া-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আ কা ম সরওয়ার জাহানের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য মো. রেজাউল হক চৌধুরী। কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকা নিয়ে নির্বাচনে নামা ১৪ দলের প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে মোকাবিলা করতে হবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামারুল আরেফিনকে। কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাহবুবউল আলম হানিফকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিজভীর। কুষ্টিয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জকে মোকাবিলা করতে হবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা দলটির নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফকে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নেতা। এরা হলেন ঈগল প্রতীক নিয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এবং ফ্রিজ প্রতীকে এম এ রাজ্জাক খান।
ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী। এই আসনে তাঁর বিপরীতে আছেন আওয়ামী লীগেরই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। এরা হলেন- ট্রাক প্রতীকে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শফিকুল আজম খাঁন এবং ঈগল প্রতীক নিয়ে যুবলীগ নেতা মো. নবী নেওয়াজ।
যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো তৌহিদুজ্জামানকেও ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হচ্ছে নিজ দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এরা হলেন- ট্রাক প্রতীকের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম এবং ঈগল প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হাবিবুর রহমান। যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদকে মোকাবিলা করতে হবে নিজ দলের মহিত কুমার নাথকে। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা মহিত উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন নিজ দলেরই মো. ইয়াকুব আলী। ইয়াকুবের প্রতীক ঈগল।
বাগেরহাট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে আসা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইদ্রিস আলী।
খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জিএম মাহবুবুল আলম।
সাতক্ষীরা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আশরাফুজ্জামানকে মোকাবিলা করতে হবে ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে আসা সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে। সাতক্ষীরা- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আতাউল হক। বিএনএমের নোঙর প্রতীকে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা।
বরিশাল বিভাগের ৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের মোকাবিলা করতে হবে শক্ত অবস্থানে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। এরমধ্যে পটুয়াখালি-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিববুর রহমান। আসনটিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নিজ দলের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরা হলেন- ট্রাক প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন এবং ঈগল প্রতীকের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান।
ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগের নেতা মো. জসীম উদ্দিন।
বরিশাল-২ আসনটি ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ছেড়েছে আওয়ামী লীগ। মেনন নৌকা প্রতীক পেলেও এখানে তাঁকে অন্তত দুজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে হবে। এরা হলেন- ঢেঁকি প্রতীক নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম এবং ঈগল নিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা এ কে ফাইয়াজুল হক। বরিশাল-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান। আর ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।
ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বিএনপি থেকে প্রতীক বদলে নির্বাচনে আসা শাজাহান ওমর। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান।
পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল। পিরোজপুর-২ আসনে নৌকা পেয়েছেন ১৪ দলের প্রার্থী জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এখানে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। পিরোজপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোশরেকুল আজমকে (রবি) মোকাবিলা করতে হবে নিজ দলেরই ঈগল নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা বর্তমান সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলি ফরাজীর।
ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তত ৬টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন দলীয় প্রার্থীরা। এর মধ্যে জামালপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানকে নিজ দলের অন্তত দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এরা হলেন আওয়ামী লীগের ঈগল প্রতীকের মো. জিয়াউল হক জিয়া ও ট্রাক প্রতীকের মো. শাহজাহান আলী মন্ডল।
জামালপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমানকে মোকাবিলা করতে হবে ঈগল নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য মুরাদ হাসানের।
ময়মনসিংহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জুয়েল আরেংয়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম। ময়মনসিংহ-২ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ আহমেদ। স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবেক নেতা শাহ শহীদ সারোয়ার। ময়মনসিংহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিলুফার আনজুমকে নিজ দলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা ও নাজনীন আলম। ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাসমত মাহমুদ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান।
ঢাকা বিভাগের অন্তত ২৪টি আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীদের বিপদের কারণ হয়ে যেতে পারেন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দকে মোকাবিলা করতে হবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা সাবেক বিএনপি নেতা মো. আক্তারুজামানকে। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আফজাল হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সুব্রত পাল।
টাঙ্গাইল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ছোট মনিরকে মোকাবিলা করতে হবে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদারকে। টাঙ্গাইল-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মো. কামরুল ইসলাম খান। ঈগল নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। টাঙ্গাইল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম তালুকদার। ট্রাক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মামুন অর রশিদ। ঈগল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহা. জহিরুল আলম রুবেল। আর ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন মাহমুদ।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে এবার দেখা মিলতে পারে এক চতুর্মুখী নির্বাচনী লড়াই। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, বিকল্পধারার বর্তমান সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী, তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী অন্তরা সেলিম হুদা এবং ট্রাক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের গোলাম সারোয়ার কবীর।
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে চ্যালেঞ্জ করছেন জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম। ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সানজিদা খানম। এই আসনে তাঁকে মোকাবিলা করতে হবে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন ও ট্রাক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস মো. আওলাদ হোসেনকে। ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান। ঈগল নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আছেন সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এবং যুব মহিলা লীগ নেতা সাবিনা আক্তার তুহিন। ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেরীফা কাদের। কিন্তু তাঁকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে কেটলি প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা মো. খসরু চৌধুরীর। ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মো. এনামুর রহমান। বিপরীতে ঈগল প্রতীকে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ)।
গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আবার নির্বাচিত হতে হলে ভোটে হারাতে হবে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমকে। গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুমানা আলীর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন। গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ। প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আখতার উজ্জামান।
নরসিংদী-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আবহ তৈরি হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম। প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে সাবেক পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান ও ট্রাক প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকারিয়া। নরসিংদী-৪ আসনে এবার জয়ী হওয়ার পথ শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ূনের জন্য কঠিন করছেন ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলাম খান (হিরু)।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী আর তৃণমূল বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল তৈমুর আলম খন্দকারের মধ্যে জমজমাট লাড়াইয়ের দেখা মিলতে পারে।
ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রহমান। তবে এখানে নির্বাচিত হতে হলে তাঁকে বিএনএমের হয়ে নির্বাচনে আসা বিএনপির সাবেক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এবং ঈগল প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে মোকাবিলা করতে হবে। ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হককে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন ঈগল নিয়ে নির্বাচনে আসা ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল কাদের (একে) আজাদ। ফরিদপুর-৪ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্ল্যাহর প্রধান প্রতিপক্ষ ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে থাকা মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুস সোবহান গোলাপের প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে আসা দলটির সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসা. তাহমিনা বেগম।
শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা খালেদ শওকত আলী।
সিলেট বিভাগের অন্তত ৪টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকার। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকে বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। কাঁচি প্রতীকে স্বতন্ত্র বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্তা।
হবিগঞ্জে-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ। ঈগল নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মজিদ খান। হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর বিপদের কারণ হতে পারেন ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা আওয়ামী লীগের সৈয়দ সায়েদুল হক।
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপে আছেন দলীয় প্রার্থীরা। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেনকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন কলার ছড়ি নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনে আসা বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা এস এ কে একরামুজ্জামান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম ভূঞা। আর আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন ঈগল নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিয়াউল হক মৃধা এবং কলার ছড়ি নিয়ে মো. মঈন উদ্দিন।
কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ। কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদ্য আঞ্জুম সুলতানা।
চাঁদপুর-৩ আসনে স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও। স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সামছুল হক ভূঁইয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে।
নোয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মামুনুর রশীদ কিরন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের ভাই মিনহাজ আহমেদ। নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা মো. শিহাব উদ্দিন শাহিন।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র, ফুলকপি নিয়ে সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম এবং কেটলি প্রতীকে ফরিদ মাহমুদ। চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। ঈগল নিয়ে স্বতন্ত্র বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।