দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘আসন ভাগ-বাটোয়ারা’ এবং ‘আমি-ডামি’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রহসনের ভোট জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সরকার। এখন তারা ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভোটারদের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ওএমএস, কৃষকের মাঝে সার এবং বীজ বিতরণ বন্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এভাবে গোটা দেশকে অভাবনীয় নরকপুরী ও জেলখানা বানানো হয়েছে।
ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসহায়দের বাধ্য করতে সরকার অভিনব অমানবিক নির্যাতনের পন্থা প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপকারভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট কার্ড জমা নিচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান আওয়ামী লীগের দাসত্ব করছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন গণভবন থেকে আসা ফরমান ঘোষণা করছেন। ইসি আনিছুরের জেনে রাখা উচিত যে, বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়া যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু প্রতিটি জনপদে নৌকা এবং ডামিরা ভোট দিতে না গেলে জনগণকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নীরব এই আনিছুররা।
যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের গায়েবি নাশকতার মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, অথচ অবৈধ নির্বাচনকে না বলার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আপনি বাধা দেওয়ার কে? ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জোর করে নিয়ে যাওয়া যে অপরাধ... তা আপনি জানেন না?