বড়দিন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
- আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপ্রধান। সেই সঙ্গে ‘শুভ বড়দিন’ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ সকলের জন্য অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনার পাশাপাশি সবার জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীগণ মহামতি যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিনকে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিষ্ট ধর্মানুসারে যীশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারী। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও শান্তির বাণী প্রচার করেন। এজন্য তাঁকে অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আসার আহ্বান জানান। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন।
জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ বর্তমান যুদ্ধ-বিগ্রহপূর্ণ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করে সম্ভব বলে আমি মনে করি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এদেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী-সমৃদ্ধ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।।
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সকল শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এলক্ষ্য অর্জনে আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাব।