ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

একদলীয় নির্বাচন ঘিরে চলছে রঙ-তামাশা: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ‘আমরা আর মামুদের’ একদলীয় ডামি নির্বাচন ঘিরে চলছে রীতিমত রঙ-তামাশা। অন্যদিকে নৌকা-ডামির কামড়া-কামড়ি, গোলাগুলি, খুনোখুনি, সংঘাত-সহিংসতায় জনপদগুলো বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সর্বত্রই। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধীদলহীন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ না থাকলেও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য অত্যাচার নিপীড়ন থেকে তাদের রেহায় নেই। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের উৎসবের বদলে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা সর্বত্রই। তারা দেশটাকে যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। সারাদেশে এখন আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়রন্যে পরিণত হয়েছে। পুরো রাস্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে আমি আর ডামি’র ভোটরঙ্গে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারাও নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী-ডামি মিছিল বের হচ্ছে। বিভন্ন স্থানে ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ভোটার না আসার আশংকায় কেন্দ্রে ভোটার আনতে তার লোকজন লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাস্তবে দেশকে স্থায়ীভাবে একটি নির্বাচনবিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। এদেশের নাগরিকরদের মানুষ আওয়ামী লীগের মূলশক্তি প্রশাসন আর সন্ত্রাসীদের পরোয়া করে না। ভোট নাটক জনগণ বানচাল করে আপনাদের পতন ঘটাবেই। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে আওয়ামী পরিকল্পনা তছনছ হয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, মেহেরপুর-১ (মুজিবনগর, সদর উপজেলা) আসনের সাবেক দুই মেয়াদের অটোপাস সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেছেন, আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি।’ তাহলে বাংলাদেশ কি পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ? তলে তলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভোমত্ব কি বিকিয়ে দেয়া হয়েছে? ভারত এখন তাদের এদেশীয় অনুচরদের নমিনেশনও দিচ্ছে? প্রফেসর আব্দুল মান্নানের এই বক্তব্য চরম রাস্ট্রদ্রোহিতা। অথচ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা প্রতিবাদেরও সাহস পায় না সরকার বা নির্বাচন কমিশন। তার মানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত তাদের অনুগত বহু সংখ্যককে মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা জানতে চাই প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মতো আর কে কে ভারতের প্রার্থী তার তালিকা প্রকাশ করা হোক।

তিনি বলেন, দেশের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান গণতন্ত্র হত্যার জন্য ভারতের প্রার্থীদের বিজয়ী করার এই পাতানো নির্বাচনে কেউ ভোট দিবেন না। দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে না চাইলে ভোট বর্জন করুন। তারা নির্বাচিত হলে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেয়াটা অসম্ভব কিছু না।

নিউজটি শেয়ার করুন

একদলীয় নির্বাচন ঘিরে চলছে রঙ-তামাশা: রিজভী

আপডেট সময় : ০৫:২৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ‘আমরা আর মামুদের’ একদলীয় ডামি নির্বাচন ঘিরে চলছে রীতিমত রঙ-তামাশা। অন্যদিকে নৌকা-ডামির কামড়া-কামড়ি, গোলাগুলি, খুনোখুনি, সংঘাত-সহিংসতায় জনপদগুলো বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সর্বত্রই। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধীদলহীন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ না থাকলেও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য অত্যাচার নিপীড়ন থেকে তাদের রেহায় নেই। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের উৎসবের বদলে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা সর্বত্রই। তারা দেশটাকে যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। সারাদেশে এখন আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়রন্যে পরিণত হয়েছে। পুরো রাস্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে আমি আর ডামি’র ভোটরঙ্গে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারাও নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী-ডামি মিছিল বের হচ্ছে। বিভন্ন স্থানে ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ভোটার না আসার আশংকায় কেন্দ্রে ভোটার আনতে তার লোকজন লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাস্তবে দেশকে স্থায়ীভাবে একটি নির্বাচনবিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। এদেশের নাগরিকরদের মানুষ আওয়ামী লীগের মূলশক্তি প্রশাসন আর সন্ত্রাসীদের পরোয়া করে না। ভোট নাটক জনগণ বানচাল করে আপনাদের পতন ঘটাবেই। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে আওয়ামী পরিকল্পনা তছনছ হয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, মেহেরপুর-১ (মুজিবনগর, সদর উপজেলা) আসনের সাবেক দুই মেয়াদের অটোপাস সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেছেন, আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি।’ তাহলে বাংলাদেশ কি পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ? তলে তলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভোমত্ব কি বিকিয়ে দেয়া হয়েছে? ভারত এখন তাদের এদেশীয় অনুচরদের নমিনেশনও দিচ্ছে? প্রফেসর আব্দুল মান্নানের এই বক্তব্য চরম রাস্ট্রদ্রোহিতা। অথচ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা প্রতিবাদেরও সাহস পায় না সরকার বা নির্বাচন কমিশন। তার মানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে ভারত তাদের অনুগত বহু সংখ্যককে মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা জানতে চাই প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মতো আর কে কে ভারতের প্রার্থী তার তালিকা প্রকাশ করা হোক।

তিনি বলেন, দেশের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান গণতন্ত্র হত্যার জন্য ভারতের প্রার্থীদের বিজয়ী করার এই পাতানো নির্বাচনে কেউ ভোট দিবেন না। দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে না চাইলে ভোট বর্জন করুন। তারা নির্বাচিত হলে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেয়াটা অসম্ভব কিছু না।