নাইজেরিয়ায় সিরিজ হামলায় নিহত বেড়ে ১৬০
- আপডেট সময় : ০৭:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ধারবাহিক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০ জনে উন্নীত হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ১৬ জনের নিহতের কথা বললেও পরদিন সোমবার স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা অন্তত ১৬০ জন। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ধর্মীয় ও জাতিগত উত্তেজনায় কয়েক বছর ধরে জর্জরিত নাইজেরিয়ার উত্তর–মধ্যাঞ্চলীয় বোকোস রাজ্য। এ রাজ্যের স্থানীয় সরকারের প্রধান কাসাহ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এএফপিকে বলেন, স্থানীয়ভাবে ‘দস্যু’ নামে পরিচিত এটি সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রায় ২০টি সম্প্রদায়ের ওপর অতর্কিত আক্রমণ শুরু করে এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। প্রাথমিকভাবে ১১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে এবং তা ১৬০ জনে গিয়ে ঠেকে।
এ ছাড়া আরও অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান কাসাহ। তিনি বলেন, আহতদের বোকোস, জোস এবং বারকিন লাদির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় রেড ক্রস জানিয়েছে, বোকোস অঞ্চলের ১৮টি গ্রামে তান্ডব চালিয়েছে হামলাকারীরা। সেখানে অন্তত ১০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বারকিন লাদি এলাকার কয়েকটি গ্রামে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রাজ্য পার্লামেন্টের সদস্য ডিকসন চোলোম।
ডিকসন চোলোম এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এই মৃত্যু–ব্যবসায়ীদের কৌশলের কাছে নতি স্বীকার করব না। আমরা আমাদের ন্যায়বিচার এবং স্থায়ী শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ।’ তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে এ হামলার ঘটনায় এখনও কোন মন্তব্য করেনি দেশটির সেনাবাহিনী। এএফপি জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে পশুপালক ও কৃষকদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে গোষ্ঠীগত সংঘাতে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এর আগে দেশটির উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় বেনু রাজ্যে দুটি পৃথক বন্দুক হামলার ঘটনায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। সেখানে কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে ভূমির ব্যবহার নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা চলে। এই বিরোধের সঙ্গে অনেক সময় জাতিগত ও ধর্মীয় বিভাজনও জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় পশুপালকরা তাদের গবাদি পশু চরানোর কৃষিজমি নষ্ট করার জন্য যাযাবর পশুপালকদের দায়ী করে থাকেন। এই দ্বন্দ্ব প্রায়ই অনানুষ্ঠানিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং প্রতিশোধমূলক আক্রমণে রূপ নেয়।