তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বিকৃত ও ধ্বংস করেছে বিএনপি: কাদের
- আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিএনপি বিকৃত ও ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বিএনপি বিকৃত ও ধ্বংস করেছে। এ ব্যবস্থা বাতিল আওয়ামী লীগ করেনি, করেছে বিচার বিভাগ। এ ব্যবস্থা মরে গেছে। একে জীবিত করার আর প্রয়োজন নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা বিশ্ব সংকটের আবর্তে খাবি খাচ্ছে। আমরাও কঠিন সময় পার করছি। বিশ্ব সংকটের প্রভাব প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন নয়। বিশ্ব সংকটের প্রতিকূল সময়ে আমাদের নির্বাচন করতে হচ্ছে। নির্বাচন দিয়েই সংবিধান রক্ষা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
মিছিল মিটিং দিয়ে নয়, কয়েকটি দল সন্ত্রাস–নাশকতা করে নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালে যে ভয়াবহ সহিংসতা চালানো হচ্ছে, তা বিরল ঘটনা। হত্যা আর ষড়যন্ত্রের এই রাজনীতি যারা এ দেশে চালু করেছে তারা গণতন্ত্রের বিকাশধারা ব্যাহত করবে এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে ফ্রি, ফেয়ার, নিউট্রাল নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমাদের দেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে মাত্র।’
বিএনপিসহ অন্য দলগুলো আসলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলকে বাইরে রেখে আমরা নির্বাচন করতে চায় না। কিন্তু তারা না থাকার পরও একটা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
কোনো অবস্থায়ই নির্বাচন ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘ভোটারদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যারা বাধা দেবে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কেউ পরিবেশ নষ্ট করলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কমিশনকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাবে। যেসব এজেন্ট বুথে অবস্থান করে দলের প্রতি অতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, দলের বদনামের কারণ হয়, তাদের দরকার নেই। নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা চান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন।’