ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদেশিদের সঙ্গে তলে তলে কোনো আপস হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে তলে তলে কোনো আপস হয়নি। পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় দেশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো টানাপোড়েন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নির্বাচনের স্বতন্ত্রী প্রার্থী বেশি হলেও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না বলেও মনে করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব এখন আমাদের অনেক সম্মান করে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, যার বেসিক পলিসি হচ্ছে শান্তি। আমরা এ অঞ্চলে কোনো ধরনের ‘প্রক্সি ওয়ার’চাই না। যেসব দেশ প্রক্সি ওয়ারে পড়েছে, সম্পদশালী হওয়ার পরও তারা নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তারা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক। আমেরিকা সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। একাত্তরে আমেরিকা আমাদের বিপক্ষে থাকলেও যেদিন আমরা স্বাধীনতা পেলাম তারপর থেকে আমেরিকা আমাদের প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করছে। সব সময় সমর্থন দিয়েছে। জাতিসংঘের সদস্য পদের জন্য ১৬টা প্রস্তাব এসেছে, ১৫টায় আমেরিকা আমাদের পক্ষে হ্যাঁ ভোট দিয়েছে।

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে যেতে চাই। এ জন্য ভারত, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহযোগিতা করছে। দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহযোগিতা করে চলেছে। ভারত আমাদের সেই শুরু থেকেই সহযোগিতা করে আসছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের তলেতলে কোনো আপস হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, এখানে আপসের কিছু নেই। তারা আমাদের বিরোধী পক্ষের সক্ষমতা সম্পর্কে বুঝে গেছে। তাছাড়া বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচি কেউ পছন্দ করছে না।

আসন্ন নির্বাচনটি মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হচ্ছে। এ নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আর যদি ১০ কিংবা ১২ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসেন, তাহলে সেটা ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ ওই নির্বাচন তো দেশেই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাবে কীভাবে?

নির্বাচনে পশ্চিমা চাপ নিয়ে মোমেন বলেন, আমরা কখনও চাপ অনুভব করি না। আপনারা মিডিয়া আমাদের চাপ দিয়েছেন। আমাদের যে চাপ সেটা নিজেদের চাপ। আমরা নিজেরা চাপ অনুভব করি, যাতে একটা গ্রহণযোগ্য এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরা দুনিয়াকে দেখাতে চাই। অন্যদের তাগিদে না। অন্যরা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে। আমেরিকা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে।

আমেরিকার কি ধরনের সাহায্য করতে চায় তাও তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, আমেরিকা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে। সাহায্যটা হলো এই—যারা নির্বাচন বর্জন করবে বা প্রতিহত করবে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের আমাদের দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) নেব না। তাদের দেশে নেওয়া না নেওয়া তাদের বিষয়। এতে আমরা খুব খুশি।

মোমেন বলেন, আমেরিকা যেটা বলেছিল, যারা নির্বাচন প্রতিহিত করবে বা বর্জন করবে তাদের তারা ভিসানীতি প্রয়োগ করবে। আমি খুব খুশি হব, যদি তারা সত্যি সত্যি প্রয়োগ করে। তারা (বিএনপি) তো নির্বাচন বর্জন করছে। যাতে নির্বাচন না হয় তার জন্য প্রচার…। আমেরিকা যে কমিটমেন্ট করে সেটা করলে ভালো।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশিদের সঙ্গে তলে তলে কোনো আপস হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে তলে তলে কোনো আপস হয়নি। পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় দেশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো টানাপোড়েন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নির্বাচনের স্বতন্ত্রী প্রার্থী বেশি হলেও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না বলেও মনে করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব এখন আমাদের অনেক সম্মান করে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, যার বেসিক পলিসি হচ্ছে শান্তি। আমরা এ অঞ্চলে কোনো ধরনের ‘প্রক্সি ওয়ার’চাই না। যেসব দেশ প্রক্সি ওয়ারে পড়েছে, সম্পদশালী হওয়ার পরও তারা নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তারা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক। আমেরিকা সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। একাত্তরে আমেরিকা আমাদের বিপক্ষে থাকলেও যেদিন আমরা স্বাধীনতা পেলাম তারপর থেকে আমেরিকা আমাদের প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করছে। সব সময় সমর্থন দিয়েছে। জাতিসংঘের সদস্য পদের জন্য ১৬টা প্রস্তাব এসেছে, ১৫টায় আমেরিকা আমাদের পক্ষে হ্যাঁ ভোট দিয়েছে।

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে যেতে চাই। এ জন্য ভারত, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহযোগিতা করছে। দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহযোগিতা করে চলেছে। ভারত আমাদের সেই শুরু থেকেই সহযোগিতা করে আসছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের তলেতলে কোনো আপস হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, এখানে আপসের কিছু নেই। তারা আমাদের বিরোধী পক্ষের সক্ষমতা সম্পর্কে বুঝে গেছে। তাছাড়া বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচি কেউ পছন্দ করছে না।

আসন্ন নির্বাচনটি মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হচ্ছে। এ নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আর যদি ১০ কিংবা ১২ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসেন, তাহলে সেটা ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ ওই নির্বাচন তো দেশেই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাবে কীভাবে?

নির্বাচনে পশ্চিমা চাপ নিয়ে মোমেন বলেন, আমরা কখনও চাপ অনুভব করি না। আপনারা মিডিয়া আমাদের চাপ দিয়েছেন। আমাদের যে চাপ সেটা নিজেদের চাপ। আমরা নিজেরা চাপ অনুভব করি, যাতে একটা গ্রহণযোগ্য এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরা দুনিয়াকে দেখাতে চাই। অন্যদের তাগিদে না। অন্যরা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে। আমেরিকা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে।

আমেরিকার কি ধরনের সাহায্য করতে চায় তাও তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, আমেরিকা আমাদের সাহায্যের জন্য এসেছে। সাহায্যটা হলো এই—যারা নির্বাচন বর্জন করবে বা প্রতিহত করবে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের আমাদের দেশে (যুক্তরাষ্ট্র) নেব না। তাদের দেশে নেওয়া না নেওয়া তাদের বিষয়। এতে আমরা খুব খুশি।

মোমেন বলেন, আমেরিকা যেটা বলেছিল, যারা নির্বাচন প্রতিহিত করবে বা বর্জন করবে তাদের তারা ভিসানীতি প্রয়োগ করবে। আমি খুব খুশি হব, যদি তারা সত্যি সত্যি প্রয়োগ করে। তারা (বিএনপি) তো নির্বাচন বর্জন করছে। যাতে নির্বাচন না হয় তার জন্য প্রচার…। আমেরিকা যে কমিটমেন্ট করে সেটা করলে ভালো।