০৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে একবছরে এইডসে ২৬৬ জনের মৃত্যু

দেশে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নতুন রোগী ও এক বছরে মৃত্যুর সংখ্যায়ও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এ বছর মৃত্যু হয়েছে ২৬৬ জনের ও শনাক্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৬। দেশে মোট ১০ হাজার ৯৮৪ জন এইডস রোগী শনাক্ত হলেও প্রায় ২৮ শতাংশ এখনও শনাক্তের বাইরে, যাদের মাধ্যমে ছড়ানোর বড় ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে মহাখালিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে অংশ নেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সারাদেশ থেকে আগত এনজিও কর্মী ও এইডস নিয়ে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার। তিনি জানান, এ বছর দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৪২ জন এইডস রোগী ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৪৬ ও রাজশাহীতে ১৭৫ জন শনাক্ত হয়েছে।

জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা.মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, ’যারা শিরাই মাদক গ্রহণ করে তাদের সংখ্যা বেশি। মাদক গ্রহণকারীদের একজনের যদি থাকে তাহলে এক সিরিঞ্জ বা ইনজেকশনের মাধ্যমে সবার শরীরে এইডসের জীবণু যাবে। এবিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক হতে হবে।’

দেশে এইডস রোগী শনাক্তের হার ৭২ শতাংশ, চিকিৎসার বাইরে রয়েছে আরও ২৮ শতাংশ। যারা শনাক্তের বাইরে তাদের মাধ্যমেই ছড়ানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আহমেদুল কবির বলেন, ’এইডস পরীক্ষা ও শনাক্ত করা জরুরি। এইডসের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য থাকা সম্ভব। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছড়াতে পারবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, ’বারবার ব্যবহার করা জিনিসগুলোর ক্ষেত্রে জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে যাতে কোন ছাড় না দেওয়া হয়। তানাহলে নির্দোষ ব্যক্তিও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যাবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর আক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে পুরুষ ৮৫০ জন ও নারী ২৭৮ জন। বাকি ১৫৮ জন কক্সবাজারের ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, যাদের নিয়ে উদ্বেগ জানান কর্মকর্তারা।

দেশে একবছরে এইডসে ২৬৬ জনের মৃত্যু

আপডেট : ০৭:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নতুন রোগী ও এক বছরে মৃত্যুর সংখ্যায়ও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এ বছর মৃত্যু হয়েছে ২৬৬ জনের ও শনাক্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৬। দেশে মোট ১০ হাজার ৯৮৪ জন এইডস রোগী শনাক্ত হলেও প্রায় ২৮ শতাংশ এখনও শনাক্তের বাইরে, যাদের মাধ্যমে ছড়ানোর বড় ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে মহাখালিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে অংশ নেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সারাদেশ থেকে আগত এনজিও কর্মী ও এইডস নিয়ে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার। তিনি জানান, এ বছর দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৪২ জন এইডস রোগী ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৪৬ ও রাজশাহীতে ১৭৫ জন শনাক্ত হয়েছে।

জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা.মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, ’যারা শিরাই মাদক গ্রহণ করে তাদের সংখ্যা বেশি। মাদক গ্রহণকারীদের একজনের যদি থাকে তাহলে এক সিরিঞ্জ বা ইনজেকশনের মাধ্যমে সবার শরীরে এইডসের জীবণু যাবে। এবিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক হতে হবে।’

দেশে এইডস রোগী শনাক্তের হার ৭২ শতাংশ, চিকিৎসার বাইরে রয়েছে আরও ২৮ শতাংশ। যারা শনাক্তের বাইরে তাদের মাধ্যমেই ছড়ানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আহমেদুল কবির বলেন, ’এইডস পরীক্ষা ও শনাক্ত করা জরুরি। এইডসের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য থাকা সম্ভব। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছড়াতে পারবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, ’বারবার ব্যবহার করা জিনিসগুলোর ক্ষেত্রে জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে যাতে কোন ছাড় না দেওয়া হয়। তানাহলে নির্দোষ ব্যক্তিও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যাবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর আক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে পুরুষ ৮৫০ জন ও নারী ২৭৮ জন। বাকি ১৫৮ জন কক্সবাজারের ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, যাদের নিয়ে উদ্বেগ জানান কর্মকর্তারা।