ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নাশকতার মামলায় আলতাফ-হাফিজের ২১ মাসের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর গুলশান থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির সাবেক নেতা মেজর (অব.) মো. হানিফকে ২১ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এক যুগ আগে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় তাঁদের এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২০১১ সালে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ছাড়া বিএনপির আরও পাঁচজনকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন, এম এ আওয়াল খান, রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ও আলমগীর বিশ্বাস।

বিচারক রায়ে উল্লেখ্য করেন, আসামিদের বয়স, শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারায় তাদের তিন মাস এবং ৪৩৫ ধারায় দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার অপর পাঁচ আসামিকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন– এমএ আউয়াল খান, রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজু।

দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারায় ওই পাঁচ জনকে ছয় মাস এবং ৪৩৫ ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাসে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন– এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার, দুলাল, তোফায়েল আহমেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার, আরিফুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, শামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশীদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহবুব।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু (পিপি) এসব তথ্য জানান।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানার মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তার ওপর ‘অবৈধভাবে’ সমাবেশ করেন। এ সময় পুলিশের কাজে বাধা দেন ও আক্রমণ করেন আসামিরা। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ সোহেল রানা চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

গত ৪ অক্টোবর ভোরে উত্তরা থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতা মামলার আসামি হিসেবে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাশকতার মামলায় আলতাফ-হাফিজের ২১ মাসের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০২:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর গুলশান থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির সাবেক নেতা মেজর (অব.) মো. হানিফকে ২১ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এক যুগ আগে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় তাঁদের এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২০১১ সালে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ছাড়া বিএনপির আরও পাঁচজনকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন, এম এ আওয়াল খান, রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ও আলমগীর বিশ্বাস।

বিচারক রায়ে উল্লেখ্য করেন, আসামিদের বয়স, শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারায় তাদের তিন মাস এবং ৪৩৫ ধারায় দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার অপর পাঁচ আসামিকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন– এমএ আউয়াল খান, রাসেল, মইনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবুল ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজু।

দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারায় ওই পাঁচ জনকে ছয় মাস এবং ৪৩৫ ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাসে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন– এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার, দুলাল, তোফায়েল আহমেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার, আরিফুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, শামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশীদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহবুব।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু (পিপি) এসব তথ্য জানান।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানার মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তার ওপর ‘অবৈধভাবে’ সমাবেশ করেন। এ সময় পুলিশের কাজে বাধা দেন ও আক্রমণ করেন আসামিরা। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ সোহেল রানা চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

গত ৪ অক্টোবর ভোরে উত্তরা থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতা মামলার আসামি হিসেবে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা রয়েছে।