ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২১ হাজার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২১ হাজার ছাড়াল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে আরও ১৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। এর আগে, গতকাল নিহতের সংখ্যা ছিল ২৪১ জন।

গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৬ হাজার ৩০০ নারী ও ৮ হাজার ৮০০ শিশুকে হত্যা করেছে বলে গাজার মিডিয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২১ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে।’ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ‘৮২ দিন ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১ হাজার ৭৭৯টি গণহত্যা করেছে। যার ফলে ২৮ হাজার ১১০ জন ব্যক্তি শহীদ এবং নিখোঁজ হয়েছেন।’

গতকাল বুধবার খান ইউনিসের এল-আমাল সিটি হাসপাতালে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে অনেকে।

খান ইউনিসের দক্ষিণের অঞ্চলেও প্রচণ্ড লড়াই চলছে। মধ্য গাজার শরণার্থী শিবিরে স্থল হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অঙ্গীকারের পর দেশটির সেনাবাহিনী এ পদক্ষেপ নিয়েছে। গেল কয়েকদিনে নুসেইরাত, মাঘাজিসহ বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় বহু মানুষ মারা গেছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের সমালোচনা করে, নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। একইসঙ্গে এত ফিলিস্তিনি হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২১ হাজার ছাড়াল

আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২১ হাজার ছাড়াল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে আরও ১৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু। এর আগে, গতকাল নিহতের সংখ্যা ছিল ২৪১ জন।

গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৬ হাজার ৩০০ নারী ও ৮ হাজার ৮০০ শিশুকে হত্যা করেছে বলে গাজার মিডিয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২১ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে।’ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ‘৮২ দিন ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১ হাজার ৭৭৯টি গণহত্যা করেছে। যার ফলে ২৮ হাজার ১১০ জন ব্যক্তি শহীদ এবং নিখোঁজ হয়েছেন।’

গতকাল বুধবার খান ইউনিসের এল-আমাল সিটি হাসপাতালে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে অনেকে।

খান ইউনিসের দক্ষিণের অঞ্চলেও প্রচণ্ড লড়াই চলছে। মধ্য গাজার শরণার্থী শিবিরে স্থল হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অঙ্গীকারের পর দেশটির সেনাবাহিনী এ পদক্ষেপ নিয়েছে। গেল কয়েকদিনে নুসেইরাত, মাঘাজিসহ বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় বহু মানুষ মারা গেছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের সমালোচনা করে, নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। একইসঙ্গে এত ফিলিস্তিনি হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।