০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভোট বানচালে সন্ত্রাসের পথ নিয়েছে বিএনপি’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভোট বানচালে সন্ত্রাসের পথ নিয়েছে বিএনপি। বিএনপি- জামায়াত নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, ক্ষমতায় গিয়ে দেশে দুর্নীতি আর সন্ত্রাস ছাড়া কিছু দিতে পারেনি তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জামালপুর, শেরপর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী,চাদপুর ও বান্দরবান ৬ জেলায় ভার্চুয়াল জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় শেখ হাসিনা বলেন একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের অংশগ্রহণ হবে জনগণের সমাবেশ হলে। ভোটারদের আগমনে তাদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা সেটাই চাই। আর সন্ত্রাসি দল তারা নির্বাচনে বিশ্বাসও করে না মানুষ খুন ছাড়া আর দুনীতি করা ছাড়া ওদের দিয়ে দেশের কোন কল্যাণও আসবে না। ওরা মানুষকে কিছুই দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, সেই করণেই আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। হ্যাঁ, নৌকা মার্কা দিয়েছি পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায় তারাও দাঁড়াবে। এখানে একটি অনুরোধ থাকবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন। যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এটাতো আমাদেরই শ্লোগান। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা সংগ্রাম করেছি। সে কথাটা মনে রেখে যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেটাই মেনে নেবেন। সেভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চাওয়ার অধিকার যেমন প্রার্থীর আছে তেমনি ভোট দেওয়ার অধিকার জনগণের। এখানে কেউ কারো ওপর কোন বল প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না। কোন সংঘাত সৃষ্টি করবেন না।

তিনি বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। সকলের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে, সিসি ক্যামেরা রয়েছে, কাজেই যারাই গোলমাল করবেন, ছবি কিন্তু উঠে আসবে। আর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে কেউ কিন্তু রেহাই পাবে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। আর জনগণ ভোট দেবে তাদের সেই ভোট দেওয়ার সুন্দর পরিবেশ তেরি করে দিতে হবে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দিতে হবে এবং যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় সেই ব্যবস্থাটা সবাইকে নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, “ইনশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে, জনগণের কাছে সেটাই আমাদের দাবি। সেটাই আমাদের আকাঙ্খা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।”

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়া বিশ্বাস করেনা। ২০০৮ সাল থেকে বিএনপি নির্বাচন বানচালের কার্যক্রম শুরু করেছে নাশকতা আর মানুষ হত্যাার মাধ্যমে। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে দেশ ও জনগনের উন্নয়ন করে। আগামী নির্বাচনে দলের ঘোষিত ইস্তেহার অনুযায়ী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তা অবহিত করে ভোট চাইতে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।

এসময়, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় আসলে দারিদ্রতা দূর হবে দেশকে এগিয়ে যাবে। তাই আওয়ামী লীগকে আবারো সরকার ক্ষমতায় আনার জন্য সকলের কাছে ভোট চাইলেন।

টানা তিন মেয়াদে গত ১৫ বছরে দেশের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসে। বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিলেন। আমরা জনগণকে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার পূর্ণ অধিকার দিয়েছি।

তিনি বলেন, একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। এদেশের অতীত ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগের হাতে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, এছাড়া অন্য কোনো দলের হাতে হয় না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করেছে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলাম। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করেছে। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যপট উন্নয়ন অগ্রগতিতে পরিবর্তন হয়েছে, ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটা মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

কিশোরগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন এটা খুবই দুঃখজনক। তবে এবারই শেষ ছাড় দিয়েছি। পরবর্তীতে আর আসন ছাড় দেওয়া হবে না।

গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারত এবং সমাবেশের মাধ্যমে দলের নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

আগামীকাল তিনি বরিশাল যাবেন এবং ওইদিন বিকেল ৩টায় জেলা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সফর করবেন এবং গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনের জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তেজগাঁও দলীয় কার্যালয় প্রান্তে এবং শেরপুর প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

‘ভোট বানচালে সন্ত্রাসের পথ নিয়েছে বিএনপি’

আপডেট : ০৩:১৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভোট বানচালে সন্ত্রাসের পথ নিয়েছে বিএনপি। বিএনপি- জামায়াত নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, ক্ষমতায় গিয়ে দেশে দুর্নীতি আর সন্ত্রাস ছাড়া কিছু দিতে পারেনি তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জামালপুর, শেরপর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী,চাদপুর ও বান্দরবান ৬ জেলায় ভার্চুয়াল জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় শেখ হাসিনা বলেন একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের অংশগ্রহণ হবে জনগণের সমাবেশ হলে। ভোটারদের আগমনে তাদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা সেটাই চাই। আর সন্ত্রাসি দল তারা নির্বাচনে বিশ্বাসও করে না মানুষ খুন ছাড়া আর দুনীতি করা ছাড়া ওদের দিয়ে দেশের কোন কল্যাণও আসবে না। ওরা মানুষকে কিছুই দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, সেই করণেই আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। হ্যাঁ, নৌকা মার্কা দিয়েছি পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায় তারাও দাঁড়াবে। এখানে একটি অনুরোধ থাকবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন। যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এটাতো আমাদেরই শ্লোগান। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা সংগ্রাম করেছি। সে কথাটা মনে রেখে যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেটাই মেনে নেবেন। সেভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চাওয়ার অধিকার যেমন প্রার্থীর আছে তেমনি ভোট দেওয়ার অধিকার জনগণের। এখানে কেউ কারো ওপর কোন বল প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না। কোন সংঘাত সৃষ্টি করবেন না।

তিনি বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। সকলের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে, সিসি ক্যামেরা রয়েছে, কাজেই যারাই গোলমাল করবেন, ছবি কিন্তু উঠে আসবে। আর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে কেউ কিন্তু রেহাই পাবে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। আর জনগণ ভোট দেবে তাদের সেই ভোট দেওয়ার সুন্দর পরিবেশ তেরি করে দিতে হবে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দিতে হবে এবং যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় সেই ব্যবস্থাটা সবাইকে নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, “ইনশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে, জনগণের কাছে সেটাই আমাদের দাবি। সেটাই আমাদের আকাঙ্খা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।”

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচন প্রক্রিয়া বিশ্বাস করেনা। ২০০৮ সাল থেকে বিএনপি নির্বাচন বানচালের কার্যক্রম শুরু করেছে নাশকতা আর মানুষ হত্যাার মাধ্যমে। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে দেশ ও জনগনের উন্নয়ন করে। আগামী নির্বাচনে দলের ঘোষিত ইস্তেহার অনুযায়ী ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তা অবহিত করে ভোট চাইতে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।

এসময়, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় আসলে দারিদ্রতা দূর হবে দেশকে এগিয়ে যাবে। তাই আওয়ামী লীগকে আবারো সরকার ক্ষমতায় আনার জন্য সকলের কাছে ভোট চাইলেন।

টানা তিন মেয়াদে গত ১৫ বছরে দেশের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসে। বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিলেন। আমরা জনগণকে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার পূর্ণ অধিকার দিয়েছি।

তিনি বলেন, একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। এদেশের অতীত ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগের হাতে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, এছাড়া অন্য কোনো দলের হাতে হয় না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করেছে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলাম। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করেছে। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যপট উন্নয়ন অগ্রগতিতে পরিবর্তন হয়েছে, ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটা মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

কিশোরগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে একটি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন এটা খুবই দুঃখজনক। তবে এবারই শেষ ছাড় দিয়েছি। পরবর্তীতে আর আসন ছাড় দেওয়া হবে না।

গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারত এবং সমাবেশের মাধ্যমে দলের নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

আগামীকাল তিনি বরিশাল যাবেন এবং ওইদিন বিকেল ৩টায় জেলা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সফর করবেন এবং গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনের জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তেজগাঁও দলীয় কার্যালয় প্রান্তে এবং শেরপুর প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।