সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সমরাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বুধবার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নতুন বছরের জন্য নির্দেশনার বিষয়ে আলোচনার সময় এ নির্দেশ দেন তিনি। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ'র বরাতে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে যুদ্ধের প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি কেসিএনএ।
বৈঠকে কিম বলেন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী স্বাধীন দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা প্রসারিত করবে পিয়ংইয়ং। এ ছাড়া নতুন বছরের জন্য অর্থনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। দেশের পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পন্ন করার জন্য ২০২৪ সালকে নির্ধারক বছর বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে নজিরবিহীন উত্তর কোরিয়া বিরোধী সংঘাতের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক পরিস্থিতি চরম হয়ে উঠছে বলেও জানান কিম।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতা এগিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে রাশিয়া। এ ছাড়া পিয়ংইয়ং ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ এনেছে ওয়াশিংটন।
এদিকে চলতি বছর উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার পরও পিয়ংইয়ং ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করেছে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের রিয়েল-টাইম তথ্য শেয়ার করার জন্য সম্প্রতি একটি সিস্টেমও সক্রিয় করে দেশগুলো।