পাকিস্তানে এ বছর নববর্ষ উদযাপন নিষিদ্ধ
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের গাজাবাসীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এ বছর ইংরেজি নববর্ষের উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার গতকাল বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে কাকার বলেন, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই–বোনদের প্রতি সংহতি জানাতে পাকিস্তান সরকার আসন্ন নববর্ষের সকল অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তার জন্য আমরা পাকিস্তানিরা গভীরভাবে ব্যথিত।
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতাম সংযম ও নম্রতা প্রকাশে নিজ দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যে সকল বৈশ্বিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছে। ইসরায়েলিদের রক্তপাত বন্ধে ভবিষ্যতেও পাকিস্তান কথা বলে যাবে।
এরই মধ্যে পাকিস্তান দুই দফায় ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠিয়েছে বলেও জানান তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে আরও এক দফা সাহায্য পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়ে পাকিস্তান সরকার।
আনোয়ারুল হক কাকার আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দিতে ও গাজায় আহতদের সরিয়ে নিতে জর্ডান এবং মিসরের সঙ্গে পাকিস্তান আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় আড়াই মাসের যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন।
অন্যদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া হামাস বাহিনী ২৪২জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে।