০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারদর নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ ক্রেতাদের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৬ দেখেছেন

খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ নানান অজুহাতে বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়েই চড়া ছিল কাঁচা বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলু ও পেঁয়াজের দাম কমলেও শীতকালীন সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাসাধারণের ক্ষোভ ও অভিযোগ থাকলেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে না। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। ফলে, বাজারদর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ ক্রেতারা।

গত সপ্তাহের তুলনার ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে গরিবের মাছ হিসেবে খ্যাত পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, চাষের কইসহ সব ধরনের মাছের। বছরের শেষ সময়ে এসেও আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে। এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে। সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়। তবে গত সপ্তাহে লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে কিছুদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর মাংস ৬০০/৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ফের দাম বাড়িয়ে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খাসির মাংস ১১০০ টাকা আর এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা হলেও লেয়ার, কক, সোনালী মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

তবে বাজারে মাছের দামের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জানাচ্ছেন ক্রেতারা। বাজারে দেখা গেছে, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, শোল ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতি কেজি রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টাকি মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, আইড় মাছ ছোট সাইজের কেজি ৭০০ টাকা, টেঙরা মাছ ছোট প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং রূপচাঁদা প্রতি কেজি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মহাখালীর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, বাজারে আসলে অতিরিক্ত দামের কারণে কোন মাছই কেনা যায় না। গরিবের মাছ তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, চাষের কই’য়ের দামও চড়া। আর অন্য কোনো মাছ তা কেনার কথা ভাবাই যায় না। এখন পাঙ্গাশ মাছও কেজি ২২০/২৪০ টাকা করে কিনতে হয়।

মালিবাগে বাজারে মাছ কিনতে আসা মাসুদুর রহমান একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি বলেন, ইদানীং বাজারে এলে মাছ কিনতে পারি না বাড়তি দামের কারণে। বাজারে সবচেয়ে কম দামের মাছও এখন বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। দরদাম করে সবশেষে তেলাপিয়া মাছ কিনলাম তাও ২২০ টাকা কেজি দরে। এই বছর কোনো সময়ের জন্যই কোনো মাছের দাম কমেনি। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা কোনো মাছই এখন সেভাবে কিনতে পারছি না।

এদিকে মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম চড়া যাচ্ছে। এছাড়া মাঝে হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় মাছের দামও বেড়েছিল। এরপর থেকে দাম নতুন করে কমেনি।

নতুন আলু বাজারে এসেছে আগেই। কিন্তু তারপরও চড়া দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিতে কিছুটা কমলেও এখনও তা নাগালে আসেনি। বাজরে আলুর সরবরাহ ভালো। তারপরও ৭০ টাকার নিচে মিলছে না। দাম বৃদ্ধির জন্য সদুত্তর নেই বিক্রেতাদের কাছে। মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমলেও চড়া পুরাতন পেঁয়াজের দাম। নতুন পেঁয়াজের কেজি ১০০ আর পুরাতন কিনতে হচ্ছে ১৪০ টাকায় এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমেছে। শুধু তাই নয় নতুন আলুও কেজিতে ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি বলে তিনি জানান।

এসব বাজারে শীতকালীন সবজি দাম বেড়েছে। শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপিরসহ সকল ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে, পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারদর নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ ক্রেতাদের

আপডেট : ০৭:০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ নানান অজুহাতে বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়েই চড়া ছিল কাঁচা বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলু ও পেঁয়াজের দাম কমলেও শীতকালীন সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাসাধারণের ক্ষোভ ও অভিযোগ থাকলেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে না। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। ফলে, বাজারদর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ ক্রেতারা।

গত সপ্তাহের তুলনার ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে গরিবের মাছ হিসেবে খ্যাত পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, চাষের কইসহ সব ধরনের মাছের। বছরের শেষ সময়ে এসেও আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে। এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে। সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়। তবে গত সপ্তাহে লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে কিছুদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর মাংস ৬০০/৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ফের দাম বাড়িয়ে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি খাসির মাংস ১১০০ টাকা আর এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা হলেও লেয়ার, কক, সোনালী মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

তবে বাজারে মাছের দামের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জানাচ্ছেন ক্রেতারা। বাজারে দেখা গেছে, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, শোল ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতি কেজি রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টাকি মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, আইড় মাছ ছোট সাইজের কেজি ৭০০ টাকা, টেঙরা মাছ ছোট প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং রূপচাঁদা প্রতি কেজি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মহাখালীর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, বাজারে আসলে অতিরিক্ত দামের কারণে কোন মাছই কেনা যায় না। গরিবের মাছ তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ, চাষের কই’য়ের দামও চড়া। আর অন্য কোনো মাছ তা কেনার কথা ভাবাই যায় না। এখন পাঙ্গাশ মাছও কেজি ২২০/২৪০ টাকা করে কিনতে হয়।

মালিবাগে বাজারে মাছ কিনতে আসা মাসুদুর রহমান একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি বলেন, ইদানীং বাজারে এলে মাছ কিনতে পারি না বাড়তি দামের কারণে। বাজারে সবচেয়ে কম দামের মাছও এখন বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। দরদাম করে সবশেষে তেলাপিয়া মাছ কিনলাম তাও ২২০ টাকা কেজি দরে। এই বছর কোনো সময়ের জন্যই কোনো মাছের দাম কমেনি। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা কোনো মাছই এখন সেভাবে কিনতে পারছি না।

এদিকে মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম চড়া যাচ্ছে। এছাড়া মাঝে হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় মাছের দামও বেড়েছিল। এরপর থেকে দাম নতুন করে কমেনি।

নতুন আলু বাজারে এসেছে আগেই। কিন্তু তারপরও চড়া দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিতে কিছুটা কমলেও এখনও তা নাগালে আসেনি। বাজরে আলুর সরবরাহ ভালো। তারপরও ৭০ টাকার নিচে মিলছে না। দাম বৃদ্ধির জন্য সদুত্তর নেই বিক্রেতাদের কাছে। মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমলেও চড়া পুরাতন পেঁয়াজের দাম। নতুন পেঁয়াজের কেজি ১০০ আর পুরাতন কিনতে হচ্ছে ১৪০ টাকায় এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমেছে। শুধু তাই নয় নতুন আলুও কেজিতে ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছি বলে তিনি জানান।

এসব বাজারে শীতকালীন সবজি দাম বেড়েছে। শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপিরসহ সকল ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধা কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে, পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।