১০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে ১ জানুয়ারি

বিশ্বের জনসংখ্যা গত এক বছরে সাড়ে সাত কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদম শুমারি ব্যুরো। আর একদিন পরে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্বের মোট জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৮০১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯ জনে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর ইউএস সেনসাস ব্যুরো শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।

ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের জনসংখ্যাবিদ উইলিয়ম ফ্রে বলেন, ১৯৩০-এর দশকে অর্থনৈতিক মহামন্দার ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম ছিল। এই সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। অবশ্যই জনসংখ্যা খানিকটা বাড়তে পারে কারণ আমরা অতিমারির বছর পেরিয়ে এসেছি। তবে এখনও ৭.৩ শতাংশে পৌঁছনো কঠিন হবে। ২০২৪ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৯ সেকেন্ডে একজনের জন্ম ও প্রতি ৯.৫ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

সেনসাস ব্যুরোর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বেড়েছে ৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪১ জন, এবং বছরজুড়ে বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে জন্ম নিয়েছে ৪ দশমিক ৩ জন শিশু এবং মারা গেছে ২ জন। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বাড়লেও পূর্ববর্তী বছর ২০২২ সালের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ কম বলে জানিয়েছে ইউএস সেনসাস ব্যুরো।

এদিকে, ২০২৩ সালে আমেরিকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ০.৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে অর্ধেক। এ বছর আমেরিকায় বেড়েছে ১৭ লাখ মানুষ। নতুন বছরের প্রথম দিন আমেরিকার জনসংখ্যা হবে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ৭০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছিল বৈশ্বিক জনসংখ্যা। তার ১১ বছর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছিল জনসংখ্যা। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস সে সময় এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল।

তবে জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১১ বছর সময় লাগলেও ৮০০ কোটি থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১৪ বছর সময় লাগবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ মার্কিন পরিসংখ্যান দপ্তর। উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্নজন্মহার এবং তরুণ ও সন্তান জন্মদানে সক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমতে থাকাই এর সবচেয়ে বড় কারণ।

করোনা মহামারি বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিতে বেশ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন মার্কিন সমাজবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এই মহামারির প্রভাবে বৈশ্বিক গড় আয়ু ৭৫ বছর থেকে ৭১ বছরে নেমে গেছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে ১ জানুয়ারি

আপডেট : ০৫:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

বিশ্বের জনসংখ্যা গত এক বছরে সাড়ে সাত কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদম শুমারি ব্যুরো। আর একদিন পরে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্বের মোট জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৮০১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯ জনে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর ইউএস সেনসাস ব্যুরো শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।

ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের জনসংখ্যাবিদ উইলিয়ম ফ্রে বলেন, ১৯৩০-এর দশকে অর্থনৈতিক মহামন্দার ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম ছিল। এই সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। অবশ্যই জনসংখ্যা খানিকটা বাড়তে পারে কারণ আমরা অতিমারির বছর পেরিয়ে এসেছি। তবে এখনও ৭.৩ শতাংশে পৌঁছনো কঠিন হবে। ২০২৪ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৯ সেকেন্ডে একজনের জন্ম ও প্রতি ৯.৫ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

সেনসাস ব্যুরোর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বেড়েছে ৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪১ জন, এবং বছরজুড়ে বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে জন্ম নিয়েছে ৪ দশমিক ৩ জন শিশু এবং মারা গেছে ২ জন। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বাড়লেও পূর্ববর্তী বছর ২০২২ সালের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার ১ শতাংশ কম বলে জানিয়েছে ইউএস সেনসাস ব্যুরো।

এদিকে, ২০২৩ সালে আমেরিকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ০.৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে অর্ধেক। এ বছর আমেরিকায় বেড়েছে ১৭ লাখ মানুষ। নতুন বছরের প্রথম দিন আমেরিকার জনসংখ্যা হবে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ৭০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছিল বৈশ্বিক জনসংখ্যা। তার ১১ বছর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ৮০০ কোটিতে পৌঁছেছিল জনসংখ্যা। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস সে সময় এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল।

তবে জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১১ বছর সময় লাগলেও ৮০০ কোটি থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছাতে ১৪ বছর সময় লাগবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ মার্কিন পরিসংখ্যান দপ্তর। উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্নজন্মহার এবং তরুণ ও সন্তান জন্মদানে সক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমতে থাকাই এর সবচেয়ে বড় কারণ।

করোনা মহামারি বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিতে বেশ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন মার্কিন সমাজবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এই মহামারির প্রভাবে বৈশ্বিক গড় আয়ু ৭৫ বছর থেকে ৭১ বছরে নেমে গেছে।