ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পেনাল্টি থেকে গোল ছাড়া বছর শেষ করলেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৮ ডিসেম্বর ২০২২, লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার ফুটবল পাগল সমর্থকদের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। এদিন ৩৬ বছর পর ফ্রান্সকে পরাজিত করে ফুটবল জাদুকর মেসির কল্যাণে সোনালি ট্রফি পুনরুদ্ধার করে আলেবিসেলেস্তেরা। এরপর থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দময় স্মৃতি নিয়ে ২০২৩ সালটি দুর্দান্তভাবে শুরু করেন এলএমটেন। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পরও বছরটি মেসির জন্য ছিল উত্থান-পতনের। বিশেষ করে পিএসজির শেষ ছয় মাস যেন যেতে চাইছিল না মেসির, বল পায়েও যাচ্ছে তাই ছিল তার পারফরম্যান্স। যার ফলে নিজস্ব সমর্থকদের দুয়োও শুনতে হয়েছে ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে।

শেষ পর্যন্ত মৌসুম শেষে ফরাসি জায়ান্টদের ছেড়ে এলএমটেন চলে যান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। যেখানে তার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। একক পারফরম্যান্সে দলটিকে তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা পাইয়ে দেন। সেই সঙ্গে আরেকটিতে নিয়ে যান ফাইনালে। কিন্তু মেসি ইনজুরিতে থাকায় খেলা হয়নি সেই ফাইনাল, এতে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলার সুযোগ হারায় মায়ামি। এমএলএসেও চোটের কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি।

ক্লাব ফুটবল উত্থান-পতনের মধ্যে গেলেও জাতীয় দলের জার্সিতে আলো ছড়িয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ও বিশ্বকাপ বাছাই মিলিয়ে পুরো বছরে মাত্র একটি ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছে আর্জেন্টিনা। তাও সেটি উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে। সেটি বাদ দিলে বছরটা ছিল মেসি ও আর্জেন্টিনার জন্য দুর্দান্ত।

২০২৩ সালে মেসি সব মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ২৮ গোল। পিএসজির জার্সিতে ৯, মায়ামির জার্সিতে ১১ এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে রয়েছে ৮ গোল। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় এই ২৮ গোলের কোনোটিই মেসি পেনাল্টি থেকে করেননি। অর্থাৎ ২০২৩ পঞ্জিকাবর্ষে মেসির কোনো গোল পেনাল্টি থেকে আসেনি। বিষয়টি এমন নয় যে মেসি পেনাল্টি নিয়েছেন কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি এ বছর কোনো পেনাল্টিই নেননি। বরং পেনাল্টি পেয়েও সতীর্থদের ছেড়ে দিয়েছেন এলএমটেন। আর এমন ঘটনা মেসির ক্যারিয়ারে ১৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো ঘটলো। এর আগে ২০০৬ সালে পেনাল্টিতে কোনো গোল ছাড়া বছর শেষ করেছিলেন ফুটবল জাদুকর।

২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি মৌসুমেই পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন মেসি। যেখানে বার্সেলোনার হয়ে ২০১২ সালে পেনাল্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৪টি গোল করেছিলেন মেসি। এটিই ছিল তার ক্যারিয়ারে এক বছরে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি গোল। মেসির ক্যারিয়ারে পেনাল্টি গোলে দ্বিতীয়বার দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছিলেন ২০১৭ সালে।

সেবার তার গোলসংখ্যা ছিল ১০টি। আর বিশ্বকাপ জয়ের বছরে মেসি পেনাল্টি থেকে সবমিলিয়ে ৬ গোল করেছিলেন। যার চারটিই আবার ছিল বিশ্বমঞ্চে। এমনকি বিশ্বকাপ ফাইনালে করা দুই গোলের একটি ছিল পেনাল্টিতে। বিশ্বকাপের ফাইনালে করা সেই গোলটিই এখন পর্যন্ত এ বছরে মেসির ক্যারিয়ারে করা সর্বশেষ পেনাল্টি গোল।

নিউজটি শেয়ার করুন

পেনাল্টি থেকে গোল ছাড়া বছর শেষ করলেন মেসি

আপডেট সময় : ০৬:২১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

১৮ ডিসেম্বর ২০২২, লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার ফুটবল পাগল সমর্থকদের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। এদিন ৩৬ বছর পর ফ্রান্সকে পরাজিত করে ফুটবল জাদুকর মেসির কল্যাণে সোনালি ট্রফি পুনরুদ্ধার করে আলেবিসেলেস্তেরা। এরপর থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দময় স্মৃতি নিয়ে ২০২৩ সালটি দুর্দান্তভাবে শুরু করেন এলএমটেন। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পরও বছরটি মেসির জন্য ছিল উত্থান-পতনের। বিশেষ করে পিএসজির শেষ ছয় মাস যেন যেতে চাইছিল না মেসির, বল পায়েও যাচ্ছে তাই ছিল তার পারফরম্যান্স। যার ফলে নিজস্ব সমর্থকদের দুয়োও শুনতে হয়েছে ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে।

শেষ পর্যন্ত মৌসুম শেষে ফরাসি জায়ান্টদের ছেড়ে এলএমটেন চলে যান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। যেখানে তার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। একক পারফরম্যান্সে দলটিকে তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা পাইয়ে দেন। সেই সঙ্গে আরেকটিতে নিয়ে যান ফাইনালে। কিন্তু মেসি ইনজুরিতে থাকায় খেলা হয়নি সেই ফাইনাল, এতে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলার সুযোগ হারায় মায়ামি। এমএলএসেও চোটের কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি।

ক্লাব ফুটবল উত্থান-পতনের মধ্যে গেলেও জাতীয় দলের জার্সিতে আলো ছড়িয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ও বিশ্বকাপ বাছাই মিলিয়ে পুরো বছরে মাত্র একটি ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছে আর্জেন্টিনা। তাও সেটি উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে। সেটি বাদ দিলে বছরটা ছিল মেসি ও আর্জেন্টিনার জন্য দুর্দান্ত।

২০২৩ সালে মেসি সব মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ২৮ গোল। পিএসজির জার্সিতে ৯, মায়ামির জার্সিতে ১১ এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে রয়েছে ৮ গোল। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় এই ২৮ গোলের কোনোটিই মেসি পেনাল্টি থেকে করেননি। অর্থাৎ ২০২৩ পঞ্জিকাবর্ষে মেসির কোনো গোল পেনাল্টি থেকে আসেনি। বিষয়টি এমন নয় যে মেসি পেনাল্টি নিয়েছেন কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি এ বছর কোনো পেনাল্টিই নেননি। বরং পেনাল্টি পেয়েও সতীর্থদের ছেড়ে দিয়েছেন এলএমটেন। আর এমন ঘটনা মেসির ক্যারিয়ারে ১৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো ঘটলো। এর আগে ২০০৬ সালে পেনাল্টিতে কোনো গোল ছাড়া বছর শেষ করেছিলেন ফুটবল জাদুকর।

২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি মৌসুমেই পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন মেসি। যেখানে বার্সেলোনার হয়ে ২০১২ সালে পেনাল্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৪টি গোল করেছিলেন মেসি। এটিই ছিল তার ক্যারিয়ারে এক বছরে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি গোল। মেসির ক্যারিয়ারে পেনাল্টি গোলে দ্বিতীয়বার দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছিলেন ২০১৭ সালে।

সেবার তার গোলসংখ্যা ছিল ১০টি। আর বিশ্বকাপ জয়ের বছরে মেসি পেনাল্টি থেকে সবমিলিয়ে ৬ গোল করেছিলেন। যার চারটিই আবার ছিল বিশ্বমঞ্চে। এমনকি বিশ্বকাপ ফাইনালে করা দুই গোলের একটি ছিল পেনাল্টিতে। বিশ্বকাপের ফাইনালে করা সেই গোলটিই এখন পর্যন্ত এ বছরে মেসির ক্যারিয়ারে করা সর্বশেষ পেনাল্টি গোল।