১০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নব আশায় স্বাগত ২০২৪

‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’…রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন। মানুষ এক সময় পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে। আজ পহেলা জানুয়ারি। ঘড়ির কাঁটা ১২টা অতিক্রমের সাথে সাথে শুরু হয়েছে নতুন বর্ষ গণনা। কালের গর্ভে হারিয়ে গেলো আরও একটি বছর, বিদায় ইংরেজি ২০২৩, স্বাগত ২০২৪। হ্যাপি নিউ ইয়ার (শুভ নববর্ষ)। পুরোনো দিনের ভুল শুধরে নতুনকে আলিঙ্গন করে নব প্রত্যয়ে, নব আশায়।

ঠিক তেমনি মহাকালের আবর্তে বিলীন হয়ে গেল আরেকটি বছর। নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে শুরু হলো নতুন বছর। স্বাগতম ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪।

নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নতুন বছর-২০২৪ উপলক্ষে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সময়ের চিরায়ত আবর্তনে নববর্ষ নতুন স্বপ্ন, নতুন অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক- খ্রিস্টীয় নববর্ষে এই প্রত্যাশা করে সাহাবুদ্দিন বলেন, নববর্ষ সবার মাঝে জাগিয়ে তুলে নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। খ্রিস্টীয় নববর্ষ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ।

শুভেচ্ছা বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক, সব সংকট দূরীভূত হোক, সব সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সবার জীবনে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি- এ প্রার্থনা করি।

অনেক প্রাপ্তি, হতাশা ও নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় শেষ হলো ২০২৩। রোববারের সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হতাশা, দুঃখ ও না পাওয়ার বেদনাকে বিসর্জন দিয়ে এবং আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে নতুন আশা আর নতুন সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে শুরু হচ্ছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবাই বরণ করছে নতুন বছরকে।

এই রাত শেষে সকালটা হবে নতুন বছরের। নতুন সূর্য উঁকি দেবে পুরাতনের গ্লানি ভুলে। বিদায় নিচ্ছে খ্রিষ্টীয় ২০২৩, স্বাগত ২০২৪। আমাদের অধিকাংশ কর্মকাণ্ডই চলে ইংরেজি সাল গণনায়। তাই খ্রিষ্টীয় বছর আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্ববহ।

অবশ্যই যার যার অভিজ্ঞতা ও ভাবনা থেকে মূল্যায়িত হবে ২০২৩। তবে আমাদের জাতীয় জীবনে বিদায়ী বছরটি নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০২৩ ছিল ঘটনাবহুল। নানা চ্যালেঞ্জ এসেছে, উত্থান-পতনের ঘটনাও ঘটেছে। সবকিছু পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০২৩ হচ্ছে অনেক ঘটনাবহুল। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নানা ঘটনার সাক্ষী ২০২৩। বিশেষ করে বাংলাদেশে ২০২৩ ছিল নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে। রাজনৈতিক উত্তাপ, অর্থনৈতিক মন্দা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি-সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল ছিল ২০২৩ সাল।

বছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। বিশেষ করে বিএনপিসহ রাজপথের বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। সরকার পতনের একদফা দাবিতে সোচ্চার ছিল তারা। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সক্রিয় ছিল মাঠে। সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিংয়ে আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সহিংসতার একাধিক ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বছরের শেষদিকে এসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা ও তার প্রয়োগের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনে অংশ নেয়।

এছাড়াও ২০২৩ সালে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দামে নাভিশ্বাস ছিল জনসাধারণের মধ্যে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইন ছিল খুব আলোচিত।

এছাড়া ২০২৩ সালে চালু হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেলপথ, খুলনা-মোংলা রেলপথ ও উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল।

বছরটিতে আন্তর্জাতিক ঘটনাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ। হামাসের এক অপারেশনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনো চলমান। এ যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত শিশুসহ ২১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ক্রীড়াঙ্গণেও এ বছর ছিল উল্লেখযোগ্য একটি বছর। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এ বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক ভারতকে রানারআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরমেন্সে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ম্যানেজমেন্টকে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসর ইস্যুতে উত্তপ্ত ছিল ক্রিকেটপাড়া।

২০২৩ সালের এমন হাজারো ঘটনাবহুল সবকিছুই এখন ফেলে আসা দিন। আর ফেলে আসা বছরটি এখন ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’। নববর্ষকে আহ্বান জানিয়ে ফুরাবে এ বছরের সব লেনদেন। বিদায় অভাবনীয় আলোড়ন সৃষ্টিকারী ২০২৩। দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুন আশায় স্বাগত ২০২৪।

নব আশায় স্বাগত ২০২৪

আপডেট : ০৬:১৯:১৫ অপরাহ্ন, রোববার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’…রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন। মানুষ এক সময় পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে। আজ পহেলা জানুয়ারি। ঘড়ির কাঁটা ১২টা অতিক্রমের সাথে সাথে শুরু হয়েছে নতুন বর্ষ গণনা। কালের গর্ভে হারিয়ে গেলো আরও একটি বছর, বিদায় ইংরেজি ২০২৩, স্বাগত ২০২৪। হ্যাপি নিউ ইয়ার (শুভ নববর্ষ)। পুরোনো দিনের ভুল শুধরে নতুনকে আলিঙ্গন করে নব প্রত্যয়ে, নব আশায়।

ঠিক তেমনি মহাকালের আবর্তে বিলীন হয়ে গেল আরেকটি বছর। নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে শুরু হলো নতুন বছর। স্বাগতম ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪।

নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নতুন বছর-২০২৪ উপলক্ষে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সময়ের চিরায়ত আবর্তনে নববর্ষ নতুন স্বপ্ন, নতুন অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক- খ্রিস্টীয় নববর্ষে এই প্রত্যাশা করে সাহাবুদ্দিন বলেন, নববর্ষ সবার মাঝে জাগিয়ে তুলে নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। খ্রিস্টীয় নববর্ষ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ।

শুভেচ্ছা বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক, সব সংকট দূরীভূত হোক, সব সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সবার জীবনে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি- এ প্রার্থনা করি।

অনেক প্রাপ্তি, হতাশা ও নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় শেষ হলো ২০২৩। রোববারের সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হতাশা, দুঃখ ও না পাওয়ার বেদনাকে বিসর্জন দিয়ে এবং আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে নতুন আশা আর নতুন সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে শুরু হচ্ছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবাই বরণ করছে নতুন বছরকে।

এই রাত শেষে সকালটা হবে নতুন বছরের। নতুন সূর্য উঁকি দেবে পুরাতনের গ্লানি ভুলে। বিদায় নিচ্ছে খ্রিষ্টীয় ২০২৩, স্বাগত ২০২৪। আমাদের অধিকাংশ কর্মকাণ্ডই চলে ইংরেজি সাল গণনায়। তাই খ্রিষ্টীয় বছর আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্ববহ।

অবশ্যই যার যার অভিজ্ঞতা ও ভাবনা থেকে মূল্যায়িত হবে ২০২৩। তবে আমাদের জাতীয় জীবনে বিদায়ী বছরটি নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০২৩ ছিল ঘটনাবহুল। নানা চ্যালেঞ্জ এসেছে, উত্থান-পতনের ঘটনাও ঘটেছে। সবকিছু পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।

ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০২৩ হচ্ছে অনেক ঘটনাবহুল। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নানা ঘটনার সাক্ষী ২০২৩। বিশেষ করে বাংলাদেশে ২০২৩ ছিল নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে। রাজনৈতিক উত্তাপ, অর্থনৈতিক মন্দা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি-সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল ছিল ২০২৩ সাল।

বছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। বিশেষ করে বিএনপিসহ রাজপথের বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। সরকার পতনের একদফা দাবিতে সোচ্চার ছিল তারা। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সক্রিয় ছিল মাঠে। সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিংয়ে আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সহিংসতার একাধিক ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বছরের শেষদিকে এসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা ও তার প্রয়োগের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনে অংশ নেয়।

এছাড়াও ২০২৩ সালে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দামে নাভিশ্বাস ছিল জনসাধারণের মধ্যে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইন ছিল খুব আলোচিত।

এছাড়া ২০২৩ সালে চালু হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেলপথ, খুলনা-মোংলা রেলপথ ও উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল।

বছরটিতে আন্তর্জাতিক ঘটনাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ। হামাসের এক অপারেশনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনো চলমান। এ যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত শিশুসহ ২১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ক্রীড়াঙ্গণেও এ বছর ছিল উল্লেখযোগ্য একটি বছর। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এ বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক ভারতকে রানারআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরমেন্সে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ম্যানেজমেন্টকে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসর ইস্যুতে উত্তপ্ত ছিল ক্রিকেটপাড়া।

২০২৩ সালের এমন হাজারো ঘটনাবহুল সবকিছুই এখন ফেলে আসা দিন। আর ফেলে আসা বছরটি এখন ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’। নববর্ষকে আহ্বান জানিয়ে ফুরাবে এ বছরের সব লেনদেন। বিদায় অভাবনীয় আলোড়ন সৃষ্টিকারী ২০২৩। দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুন আশায় স্বাগত ২০২৪।