গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। একদিনে আরও ১৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ২২ হাজার।
এদিকে ইসরায়েলি কারাগারে আরও এক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এ ঘটনাকে হত্যা বলে অভিহিত করেছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে কারাগারে এ নিয়ে সাত ফিলিস্তিনির মৃত্যু হল। অন্যদিকে বছরের প্রথম দিনে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর, ওয়াল স্ট্রিট এবং ব্রুকলিন ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সমাবেশ হয়েছে।
গাজায় স্থল, জল ও নৌ—তিন ধাপেই ভারী হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে অঞ্চলটিতে অন্তত সাড়ে ৩০০ স্কুল ভবন ধ্বংস হওয়ায় চার লাখের বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের দাবি ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র ১৩টি। হামাস নির্মূলের নামে ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে গাজার শরণার্থী শিবির।
এদিকে, ২০২৪ সাল জুড়ে গাজায় যুদ্ধ ও অভিযান চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী-আইডিএফ। তারা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি হিসেবে গাজায় নতুন সেনা মোতায়েন ও কিছু সেনা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
গাজায় খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় অসংখ্য শিশু ক্ষুধার্ত অবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অঞ্চলটিতে দ্রুত সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আর এই অবস্থাতেও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বলে দাবি সংস্থাটির।
এ ছাড়া জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার কারণে রাফায় অন্তত ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকছে। ফিলিস্তিনের দাবি, গাজায় অন্তত ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একইসঙ্গে গাজার ৭০ শতাংশ আবাসিক ভবন ধ্বংসেরও দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য গাজায় অসহায় নারী ও শিশুদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সব দেশ ও সংস্থাকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব বলেন।