০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোট চাইবার আগে সেলফি দেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। মাগুরার সদর এবং শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাগুরা-১ নির্বাচনী আসন নির্বাচন করছেন তিনি।

নির্বাচনী জনসংযোগে নেমে খ্যাতির নানা বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দেশের অত্যন্ত সেলিব্রেটি এই প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকার যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ছেলে–বুড়ো–নারী–শিশুসহ সবাই। উৎসুক মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কমতি না থাকলেও বিড়ম্বনাকে আলিঙ্গন করেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে।

স্কুলজীবনে মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও ক্রিকেটের কারণেই সাকিবকে অধিকাংশ সময় থাকতে হয়েছে জেলার বাইরে। কালে–ভদ্রে এলাকায় ফিরলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব বেশি ঘনিষ্ঠতা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। যে কারণে তাঁকে ঘিরে এলাকার মানুষের উৎসাহের কমতি নেই। নির্বাচনী প্রচারে যেখানেই যাচ্ছেন ভিড় জমছে সেখানেই। হরহামেশা শিকারও হচ্ছেন খ্যাতির বিড়ম্বনার।

নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে সাকিবকে কাছে পেলেই বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে চাচ্ছেন, তুলছেন সেলফিও। আবার কেউ কেউ স্মারক হিসেবে অটোগ্রাফ রাখতে খেলার ব্যাট বল, নোট প্যাড, ডাইরি এমনকি কেউ কেউ মোবাইল ফোনের কভারে পর্যন্ত তাঁর স্বাক্ষর নিচ্ছেন। মেয়েদের অনেকে নিজের প্রিয় ভ্যানিটি ব্যাগেও নিয়ে রাখছে সাকিব আল হাসানের দেওয়া অটোগ্রাফ।

সাকিবের প্রতি এমন উৎসাহের ব্যাপারে মাগুরা শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা নারী উদ্যোক্তা কাজী ডিনা বলেন, ‘সাকিব আমাদের ছেলে। খেলার কারণেই আগে তাঁকে কাছে পাওয়া যায়নি। এখন নির্বাচনের জন্যে সকলের মাঝে যেতে হচ্ছে। তাঁকে পেয়ে আমরাও উচ্ছ্বসিত বলেই সবাই সেলফি ছবি তুলছি কিংবা অটোগ্রাফ নিচ্ছি।’

একইভাবে সাকিব সেলিব্রেটি মানুষ হওয়ায় তাঁর সঙ্গে ‘ছবি তোলার মধ্যে এক্সাইটমেন্ট আছে’ উল্লেখ করে স্কুল–কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সাকিবের নির্বাচনী প্রচার এলাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পরে ইচ্ছা পূরণে তারা বিজয় উল্লাস প্রকাশ করতেও দ্বিধা করেনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি এলাকায় নিজস্ব বক্তব্য প্রদানের জন্যে সর্বোচ্চ দুই মিনিট পর্যন্ত সময় ব্যায় করলেও সাকের ঘণ্টাকাল কেটে যায় ভক্তদের অনুরোধ রক্ষায় ছবি তোলার সুযোগ কিংবা অটোগ্রাফ দিতে। এ অবস্থায় উৎসাহী ভক্তদের হাজারো ভিড়ের মধ্যে পড়ে সাকিব আল হাসানকে এই শীতের মধ্যে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রায়ই।

ভক্তদের সাকিবের প্রতি অধিক আগ্রহের বিষয়ে মাগুরার খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী আশীষ রায় বলেন, ‘সাকিব ক্রিকেট মাঠ থেকে এখন রাজনীতির মাঠে। এতদিন তাঁর সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। এখন সে বড় একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। বিধায় নির্বাচনের যে উৎসাহ সেটিরই প্রতিফলন ঘটছে। আর ফেমাস বলেই সাকিব যেখানেই যাচ্ছে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। এতে বিড়ম্বনার শিকারও হচ্ছেন। কিন্তু এ থেকে সাকিবের পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। আবার তাঁর প্রতি সাধারণ ভক্তদের ভালোবাসারও নেই কমতি।’

নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে সাকিব যতই বিড়ম্বনার শিকার হন না কেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে মাগুরার সাধারণ মানুষের মধ্যেই মিলেমিশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। আর এমনটি হলে এলাকার সাধারণ মানুষের মণিকোঠায় নিশ্চিত ঠাঁই নিতে সক্ষম হবেন সেই প্রত্যাশা সকলেরই।

ভোট চাইবার আগে সেলফি দেন

আপডেট : ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। মাগুরার সদর এবং শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাগুরা-১ নির্বাচনী আসন নির্বাচন করছেন তিনি।

নির্বাচনী জনসংযোগে নেমে খ্যাতির নানা বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দেশের অত্যন্ত সেলিব্রেটি এই প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকার যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ছেলে–বুড়ো–নারী–শিশুসহ সবাই। উৎসুক মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কমতি না থাকলেও বিড়ম্বনাকে আলিঙ্গন করেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে।

স্কুলজীবনে মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও ক্রিকেটের কারণেই সাকিবকে অধিকাংশ সময় থাকতে হয়েছে জেলার বাইরে। কালে–ভদ্রে এলাকায় ফিরলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব বেশি ঘনিষ্ঠতা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। যে কারণে তাঁকে ঘিরে এলাকার মানুষের উৎসাহের কমতি নেই। নির্বাচনী প্রচারে যেখানেই যাচ্ছেন ভিড় জমছে সেখানেই। হরহামেশা শিকারও হচ্ছেন খ্যাতির বিড়ম্বনার।

নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে সাকিবকে কাছে পেলেই বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে চাচ্ছেন, তুলছেন সেলফিও। আবার কেউ কেউ স্মারক হিসেবে অটোগ্রাফ রাখতে খেলার ব্যাট বল, নোট প্যাড, ডাইরি এমনকি কেউ কেউ মোবাইল ফোনের কভারে পর্যন্ত তাঁর স্বাক্ষর নিচ্ছেন। মেয়েদের অনেকে নিজের প্রিয় ভ্যানিটি ব্যাগেও নিয়ে রাখছে সাকিব আল হাসানের দেওয়া অটোগ্রাফ।

সাকিবের প্রতি এমন উৎসাহের ব্যাপারে মাগুরা শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা নারী উদ্যোক্তা কাজী ডিনা বলেন, ‘সাকিব আমাদের ছেলে। খেলার কারণেই আগে তাঁকে কাছে পাওয়া যায়নি। এখন নির্বাচনের জন্যে সকলের মাঝে যেতে হচ্ছে। তাঁকে পেয়ে আমরাও উচ্ছ্বসিত বলেই সবাই সেলফি ছবি তুলছি কিংবা অটোগ্রাফ নিচ্ছি।’

একইভাবে সাকিব সেলিব্রেটি মানুষ হওয়ায় তাঁর সঙ্গে ‘ছবি তোলার মধ্যে এক্সাইটমেন্ট আছে’ উল্লেখ করে স্কুল–কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সাকিবের নির্বাচনী প্রচার এলাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পরে ইচ্ছা পূরণে তারা বিজয় উল্লাস প্রকাশ করতেও দ্বিধা করেনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি এলাকায় নিজস্ব বক্তব্য প্রদানের জন্যে সর্বোচ্চ দুই মিনিট পর্যন্ত সময় ব্যায় করলেও সাকের ঘণ্টাকাল কেটে যায় ভক্তদের অনুরোধ রক্ষায় ছবি তোলার সুযোগ কিংবা অটোগ্রাফ দিতে। এ অবস্থায় উৎসাহী ভক্তদের হাজারো ভিড়ের মধ্যে পড়ে সাকিব আল হাসানকে এই শীতের মধ্যে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রায়ই।

ভক্তদের সাকিবের প্রতি অধিক আগ্রহের বিষয়ে মাগুরার খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী আশীষ রায় বলেন, ‘সাকিব ক্রিকেট মাঠ থেকে এখন রাজনীতির মাঠে। এতদিন তাঁর সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। এখন সে বড় একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। বিধায় নির্বাচনের যে উৎসাহ সেটিরই প্রতিফলন ঘটছে। আর ফেমাস বলেই সাকিব যেখানেই যাচ্ছে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। এতে বিড়ম্বনার শিকারও হচ্ছেন। কিন্তু এ থেকে সাকিবের পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। আবার তাঁর প্রতি সাধারণ ভক্তদের ভালোবাসারও নেই কমতি।’

নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে সাকিব যতই বিড়ম্বনার শিকার হন না কেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে মাগুরার সাধারণ মানুষের মধ্যেই মিলেমিশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। আর এমনটি হলে এলাকার সাধারণ মানুষের মণিকোঠায় নিশ্চিত ঠাঁই নিতে সক্ষম হবেন সেই প্রত্যাশা সকলেরই।