০৬:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণ মুখের বদলে ইশারায় কথা বলছে : রিজভী

দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে দেশের জনগণ এখন কথা বলতে পারে না। ফিসফিস করে চোখের ইশারায় কথা বলে।’ আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, অনেকেই আমাদের সঙ্গে হাত মেলান। চোখের ভাষায় বোঝা যায় তাদের সম্মতি আছে আমাদের কর্মসূচিতে। বোঝা যায় তারা আতঙ্কে আছেন।’

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এমনও হয়েছে আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, একজন লিফলেট হাতে নিয়ে বলেছেন— এটা প্রকাশ্যে পড়া যাবে না, বাসায় নিয়ে পড়ব।’

সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন ও নির্যাতন ও দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে, মানুষ স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘যারা সত্য কথা বলবে তাদের নামে হবে নাশকতাসহ ভয়ংকর সব মামলা। এই দেশে যখন উপনিবেশ শাসন ছিল, তখনো রাজনীতিবিদদের নামে মামলা দেওয়া হতো। কিন্তু তখন তাদেরকে সম্মান করতো, এটা কারাগারে হোক বা কারাগারের বাইরে হোক। বর্তমানের মতো এত নিষ্ঠুর অবিচার, নির্যাতন, অসম্মান করা হতো না। আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন, নিপীড়ন অতীতের স্বৈরশাসকের সব রেকর্ড এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’

এ দেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলনে আমিও আহত হয়েছি, আমার পেটে গুলি লেগেছিল। সেই গণতন্ত্রের আন্দোলনের চিহ্ন এখনো আমি বয়ে বেড়াচ্ছি।’

‘এখনো কেন এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে? এখনো কেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কথা বলতে হচ্ছে? এগুলোর জন্য সেলিম, সাজু, দিপালী সাহা, শাজাহান সিরাজ আত্মদান করেছেন! সর্বোপরি ডাক্তার মিলন, জিহাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে। তখন আমি ছাত্র রাজনীতি করতাম। আমি তো দেখছি সেই যুগে যে জুলুম নির্যাতন চলেছে… তার চেয়ে আরও নির্মম বর্বর অনাচার, পৈশাচিক এই আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী দুঃশাসন।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরশাসক- এরা তো মহাপ্রতারণা এবং অত্যাচারের সঙ্গে সরকারি প্রশাসনিক নির্যাতনের খড়গ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বিরোধীদলের ওপর নানান ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে।’

জনগণ মুখের বদলে ইশারায় কথা বলছে : রিজভী

আপডেট : ০৪:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে দেশের জনগণ এখন কথা বলতে পারে না। ফিসফিস করে চোখের ইশারায় কথা বলে।’ আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, অনেকেই আমাদের সঙ্গে হাত মেলান। চোখের ভাষায় বোঝা যায় তাদের সম্মতি আছে আমাদের কর্মসূচিতে। বোঝা যায় তারা আতঙ্কে আছেন।’

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এমনও হয়েছে আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, একজন লিফলেট হাতে নিয়ে বলেছেন— এটা প্রকাশ্যে পড়া যাবে না, বাসায় নিয়ে পড়ব।’

সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন ও নির্যাতন ও দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে, মানুষ স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘যারা সত্য কথা বলবে তাদের নামে হবে নাশকতাসহ ভয়ংকর সব মামলা। এই দেশে যখন উপনিবেশ শাসন ছিল, তখনো রাজনীতিবিদদের নামে মামলা দেওয়া হতো। কিন্তু তখন তাদেরকে সম্মান করতো, এটা কারাগারে হোক বা কারাগারের বাইরে হোক। বর্তমানের মতো এত নিষ্ঠুর অবিচার, নির্যাতন, অসম্মান করা হতো না। আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন, নিপীড়ন অতীতের স্বৈরশাসকের সব রেকর্ড এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’

এ দেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলনে আমিও আহত হয়েছি, আমার পেটে গুলি লেগেছিল। সেই গণতন্ত্রের আন্দোলনের চিহ্ন এখনো আমি বয়ে বেড়াচ্ছি।’

‘এখনো কেন এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে? এখনো কেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কথা বলতে হচ্ছে? এগুলোর জন্য সেলিম, সাজু, দিপালী সাহা, শাজাহান সিরাজ আত্মদান করেছেন! সর্বোপরি ডাক্তার মিলন, জিহাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে। তখন আমি ছাত্র রাজনীতি করতাম। আমি তো দেখছি সেই যুগে যে জুলুম নির্যাতন চলেছে… তার চেয়ে আরও নির্মম বর্বর অনাচার, পৈশাচিক এই আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী দুঃশাসন।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরশাসক- এরা তো মহাপ্রতারণা এবং অত্যাচারের সঙ্গে সরকারি প্রশাসনিক নির্যাতনের খড়গ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বিরোধীদলের ওপর নানান ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে।’