ড. ইউনূসের সাজা ও নির্বাচন ইস্যুতে যা বলল আমেরিকা
- আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে আমেরিকা। আসন্ন ভোট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে এখনই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন এই মুখপাত্র।
এদিকে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজার বিষয়ে মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।’
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচনে ডামি প্রার্থীর ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কিন সরকার কি এমন ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেবে? যদি না হয়, বাইডেন প্রশাসন প্রস্তাবিত শাসনের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিবেচনা করবে কি না?
সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘একাধিকবার বলা হয়েছে, নতুন বছরে আবারও বলছি, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে আমেরিকা। বাংলাদেশের আসন্ন ভোট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে এখনই পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, কী নেওয়া হবে না তা নিয়ে মন্তব্য নয়।’
এদিকে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শ্রম আদালত যে কারাদণ্ড দিয়েছে সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাচ্ছি। বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা- এই দুই ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ যে পর্যায়ে এসে ঠেকেছে সে বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপলব্ধি কী?
সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা অবশ্যই রায়ের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনাও দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করেছি এবং এই বিষয়ে পরবর্তী যেকোনও ঘটনা আমরা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখব।’