ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বিতীয় দিনের মতো ঘন কুয়াশা কাটিয়ে ভোরেই রোদ ছড়িয়ে উঠেছে পূবালী সূর্য। সূর্যের আলোয় রোদ ঝরলে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতের তাণ্ডবে উত্তরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকেই হিম বাতাসে বইতে থাকে শীতের ঝাঞ্জা। রাত ৯টার মধ্যে তীব্র শীতের কারণে শহর ও গ্রামের হাটবাজারগুলোতে থেমে যায় কোলাহল। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে রিকশা ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষগুলো। এতে করে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষগুলো কাজে বের হতে দেখা গেছে।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে ১৩টি ফ্লাইট ভারতের কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১৩টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট ডাইভার্ট হয়ে কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর ডাইভার্ট ফ্লাইটগুলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসা শুরু করে।

চলতি মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ১২ ও ১৩ এবং ২০২৪ এর ২ জানুয়ারি ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয় শাহজালালে। গত ২-৩ দিন ধরে সারাদেশে তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জেলায় গত পাঁচ দিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। একই সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে শীত থাকলেও সকাল থেকেই সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে। অব্যাহত এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে গত ৩ জানুয়ারি ছিল দেশের সর্বনিম্ন ও মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানিয়েছেন,পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে আবহাওয়া এমন থাকার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঠান্ডার পরিমাণ কমে তাপমাত্রা বাড়বে।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান সরকারিভাবে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র ইতোমধ্যে শীতার্তদের মাঝে বিলি করা হয়েছে। নতুন ভাবে বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন জানান, সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা তিন ঘণ্টার ব্যবধানে কমে গিয়ে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে দাঁড়ায়।

শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে জানা যায়, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হলে সেটি হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা এর চেয়ে কমে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসেবে এ জেলায় এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে।

গ্রামীণ নারীরা জানান, রোদ উঠলেও ভোর-সকালে কনকনে শীতের কারণে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। ঘরের আসবাবপত্র, বিছানাপত্র, ঘরের মেঝে পর্যন্ত স্পর্শ করলে বরফের মতো ঠান্ডা মনে হয়। ফলে আমাদের মতো নারীদের সকালে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়।

এদিকে দিনাজপুরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সূর্যের দেখা দিলেও তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৩ ভাগ। দিনাজপুরে গতকাল দুই দিন থেকে ১০ ডিগ্রি নিচে। আজ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি হওয়ায় জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।।

ইটভাটা শ্রমিক খায়রুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেক শীত বেশি হওয়ার কারণে ভাটা যেতে পারিনি।আজ সকাল থেকে সূর্যের দেখা দিছে তাই কাজে আসলাম। সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডা বাতাস কমে নাই।

তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কুয়াশা কুড়িগ্রামে কিছুটা কমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪২ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও অতি দরিদ্র মানুষজন। এ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

আপডেট সময় : ০৬:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বিতীয় দিনের মতো ঘন কুয়াশা কাটিয়ে ভোরেই রোদ ছড়িয়ে উঠেছে পূবালী সূর্য। সূর্যের আলোয় রোদ ঝরলে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতের তাণ্ডবে উত্তরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকেই হিম বাতাসে বইতে থাকে শীতের ঝাঞ্জা। রাত ৯টার মধ্যে তীব্র শীতের কারণে শহর ও গ্রামের হাটবাজারগুলোতে থেমে যায় কোলাহল। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে রিকশা ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষগুলো। এতে করে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষগুলো কাজে বের হতে দেখা গেছে।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে ১৩টি ফ্লাইট ভারতের কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১৩টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট ডাইভার্ট হয়ে কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর ডাইভার্ট ফ্লাইটগুলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসা শুরু করে।

চলতি মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ১২ ও ১৩ এবং ২০২৪ এর ২ জানুয়ারি ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয় শাহজালালে। গত ২-৩ দিন ধরে সারাদেশে তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জেলায় গত পাঁচ দিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। একই সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে শীত থাকলেও সকাল থেকেই সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে। অব্যাহত এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে গত ৩ জানুয়ারি ছিল দেশের সর্বনিম্ন ও মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানিয়েছেন,পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে আবহাওয়া এমন থাকার পাশাপাশি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঠান্ডার পরিমাণ কমে তাপমাত্রা বাড়বে।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান সরকারিভাবে প্রাপ্ত শীতবস্ত্র ইতোমধ্যে শীতার্তদের মাঝে বিলি করা হয়েছে। নতুন ভাবে বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন জানান, সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা তিন ঘণ্টার ব্যবধানে কমে গিয়ে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে দাঁড়ায়।

শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে জানা যায়, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হলে সেটি হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা এর চেয়ে কমে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসেবে এ জেলায় এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে।

গ্রামীণ নারীরা জানান, রোদ উঠলেও ভোর-সকালে কনকনে শীতের কারণে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। ঘরের আসবাবপত্র, বিছানাপত্র, ঘরের মেঝে পর্যন্ত স্পর্শ করলে বরফের মতো ঠান্ডা মনে হয়। ফলে আমাদের মতো নারীদের সকালে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়।

এদিকে দিনাজপুরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সূর্যের দেখা দিলেও তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৩ ভাগ। দিনাজপুরে গতকাল দুই দিন থেকে ১০ ডিগ্রি নিচে। আজ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি হওয়ায় জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।।

ইটভাটা শ্রমিক খায়রুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেক শীত বেশি হওয়ার কারণে ভাটা যেতে পারিনি।আজ সকাল থেকে সূর্যের দেখা দিছে তাই কাজে আসলাম। সূর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডা বাতাস কমে নাই।

তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কুয়াশা কুড়িগ্রামে কিছুটা কমেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪২ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও অতি দরিদ্র মানুষজন। এ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।