০৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধস নেমেছে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায়

গত অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। ইসরায়েল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ শেষে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মাত্র ১৫ শতাংশ ইসরায়েলি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, নেতানিয়াহুর থেকে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদ বেনি গান্টজ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। এতে নিহত হয় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এ ছাড়া ২৪২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। যাদের মধ্যে ১২৯ জন এখনও মুক্তির অপেক্ষায় আছেন।

জিম্মিদের মুক্তির থেকে গাজায় হামলা এবং স্থল অভিযানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় শুরু থেকেই নিজ দেশে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি ইসরায়েলি থিঙ্কট্যাংক সংস্থা ইসরায়েল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (আইডিআই) এক জরিপে দেখা গেছে, হামাসের সেই হামলার পর থেকেই ইসরায়েলে জনপ্রিয়তা কমেছে নেতানিয়াহুর।

২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুকে দেখতে চান।

২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেনি গান্টজ সবচেয়ে উপযুক্ত রাজনীতিবিদ। যুদ্ধের পর তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তারা। আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ৩০ শতাংশ ইসরায়েলি।

তবে জনপ্রিয়তা কমলেও হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা এবং এখনও এই গোষ্ঠীটির কাছে থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে গাজায় টানা সেনা অভিযানের পরিচালনার নীতিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৫৬ শতাংশ ইসরায়েলি। আর ২৮ শতাংশ ইসরায়েলি হামাসের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সংলাপ এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধারের পক্ষে মত দিয়েছেন।

৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বর্বর এ হামলায় এ পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৬ হাজারের বেশি।

ধস নেমেছে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায়

আপডেট : ০৭:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

গত অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। ইসরায়েল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ শেষে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মাত্র ১৫ শতাংশ ইসরায়েলি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, নেতানিয়াহুর থেকে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে আছেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদ বেনি গান্টজ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। এতে নিহত হয় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এ ছাড়া ২৪২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। যাদের মধ্যে ১২৯ জন এখনও মুক্তির অপেক্ষায় আছেন।

জিম্মিদের মুক্তির থেকে গাজায় হামলা এবং স্থল অভিযানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় শুরু থেকেই নিজ দেশে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি ইসরায়েলি থিঙ্কট্যাংক সংস্থা ইসরায়েল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (আইডিআই) এক জরিপে দেখা গেছে, হামাসের সেই হামলার পর থেকেই ইসরায়েলে জনপ্রিয়তা কমেছে নেতানিয়াহুর।

২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুকে দেখতে চান।

২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেনি গান্টজ সবচেয়ে উপযুক্ত রাজনীতিবিদ। যুদ্ধের পর তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তারা। আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ৩০ শতাংশ ইসরায়েলি।

তবে জনপ্রিয়তা কমলেও হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা এবং এখনও এই গোষ্ঠীটির কাছে থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে গাজায় টানা সেনা অভিযানের পরিচালনার নীতিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৫৬ শতাংশ ইসরায়েলি। আর ২৮ শতাংশ ইসরায়েলি হামাসের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সংলাপ এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধারের পক্ষে মত দিয়েছেন।

৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বর্বর এ হামলায় এ পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৬ হাজারের বেশি।