ডিম ও মুরগি: থাকবে না কোনো মধ্যস্বত্বভোগী
- আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
সরাসরি খামার থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছাবে ডিম ও মুরগি। থাকবে না কোনো মধ্যস্বত্বভোগী। বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে এমন উদ্যোগের কথা জানায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার ব্যবস্থাপনায় সংস্কার চলছে বলে জানালেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
সম্প্রতি ঢাকার শাহজাহানপুরে ৫৯৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করে সাড়া ফেলেন ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। যার প্রভাবে অল্প সময়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কমে আসে দর। ওই ব্যবসার মডেল এবার অন্য পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করলো ভোক্তা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সহাতায় তুলনামূলক কম দামে ফিড, মুরগি ও ডিম বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। যেখানে ব্রয়লারের কেজি ১৮০ টাকা, ডিম ১০ টাকা এবং ফিডের বস্তা পাওয়া যাবে অন্তত দেড়শ টাকা কমে।
রাজধানীর শনির আখড়ার গোবিন্দপুর বাজারে এর উদ্বোধন করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের বিপণন ব্যবস্থা ভীষণ ত্রুটিপূর্ণ। ফলে ১২ টাকার ডিম ২ দিনের ব্যবধানে ১৫ টাকা হয়ে যায়। ১৮০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা হয়ে যায়। ডিম নিয়ে আমরা প্রায় দেড় থেকে দুই বছর ধরে কাজ করছি। আশা করি, শিগগিরই সুফল মিলবে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা সমবায়ের মাধ্যমে আমাদের তালিকাভুক্ত খামারিদের নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করছি। কোম্পানি যে ফিড ৩ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করে। আমরা সেটা ৩ হাজার ২০০ টাকায় দেবো।
ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থায় এই উদ্যোগ কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, এতে লাভবান হবেন উৎপাদক ও ভোক্তা। কমবে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। কেউ ১৭৫ টাকায় বিক্রি করলে যারা বেশি দরে করছে তাদের ওপর চাপ তৈরি হবে। ফলে মূল্য হ্রাস পাবে। সম্প্রতি গরুর মাংসের ক্ষেত্রে যেটা দেখেছি আমরা। একজন ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করায় সেটা ৬৫০-এ নেমে এসেছে। এর একটা প্রভাব আছে।
ঢাকার কারওয়ান বাজার, ও কাপ্তান বাজারসহ ১০টি বাজারে খুচরা ও পাইকারি দরে পোল্ট্রি ফিড, মুরগি ও ডিম বিক্রি করার আশ্বাস দেয় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।