০৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘হামাস নেতাকে হত্যার পর আমরা চুপ থাকতে পারি না’

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, বৈরুতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপপ্রধান হত্যার পর আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। ইসরায়েল গাজা থেকে লেবানন পর্যন্ত যুদ্ধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র বাহিনী।

আল জাজিরা জানায়, গতকাল বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে এসব কথা বলেন নাসরুল্লাহ। হাসান নাসরুল্লাহ এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করার পাশাপাশি হামাস উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি হত্যাকাণ্ডকে প্রকাশ্য আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের দাহিয়েতে হামাসের কার্যালয় লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরে হামাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উপপ্রধান আরৌরিসহ ৭ জন নিহতের বিষয় নিশ্চিত করা হয়।

৫৭ বছর বয়সী সালেহ আল-আরৌরি হামাসের সামরিক শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বেড়ে ওঠা আরৌরির দীর্ঘ ১৫ বছর কেটেছে ইসরায়েলের কারাগারে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেবাননে বসবাস করছিলেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হলে থেকে হামাসের একজন সামরিক মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন তিনি।

এদিকে লেবানন ঘোষণা দিয়েছে বৈরুতে হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ নিয়ে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

তবে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা জানায়। গত ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অন্তত ১৪০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা।

‘হামাস নেতাকে হত্যার পর আমরা চুপ থাকতে পারি না’

আপডেট : ০৭:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, বৈরুতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপপ্রধান হত্যার পর আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। ইসরায়েল গাজা থেকে লেবানন পর্যন্ত যুদ্ধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র বাহিনী।

আল জাজিরা জানায়, গতকাল বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে এসব কথা বলেন নাসরুল্লাহ। হাসান নাসরুল্লাহ এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করার পাশাপাশি হামাস উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি হত্যাকাণ্ডকে প্রকাশ্য আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের দাহিয়েতে হামাসের কার্যালয় লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরে হামাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উপপ্রধান আরৌরিসহ ৭ জন নিহতের বিষয় নিশ্চিত করা হয়।

৫৭ বছর বয়সী সালেহ আল-আরৌরি হামাসের সামরিক শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বেড়ে ওঠা আরৌরির দীর্ঘ ১৫ বছর কেটেছে ইসরায়েলের কারাগারে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেবাননে বসবাস করছিলেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হলে থেকে হামাসের একজন সামরিক মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন তিনি।

এদিকে লেবানন ঘোষণা দিয়েছে বৈরুতে হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ নিয়ে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

তবে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা জানায়। গত ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অন্তত ১৪০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা।