ঠাণ্ডা হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরাঞ্চল
- আপডেট সময় : ০৭:২৮:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
ঘন কুয়াশার পাশাপাশি ঠাণ্ডা হাওয়ায় কাঁপছে বিভিন্ন জনপদ। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের মধ্যেই বৃষ্টির আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদফতর। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারী) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুর এবং পঞ্চগড় জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা অব্যাহত থাকতে পারে। অনেক স্থানে দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
কুড়িগ্রামে আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না।
পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা কেটে ভোরেই পুবালি আকাশে জেগে উঠেছে সূর্য। তবে সূর্য উঠলেও কনকনে শীতের তাণ্ডবে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে রিকশা-ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষ। এতে করে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন। বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের কাজে বের হতে দেখা দেখা গেছে।
সেই সঙ্গে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। এ জনপদে কনকনে হিম বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত। গত দুদিন ধরে এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। পরে তাপমাত্রা কমে সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মিলেছে সূর্যের।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে গতরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত ৭টি ফ্লাইট নামতে পারেনি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা যশোর, কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে অতিঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অতি ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।