বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের সাথে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোন সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আজ শনিবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় কাদের বিএনপি জামায়াতের গুজব ও প্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের দোসররা নাশকতা অগ্নিসংযোগ সহ ব্যাপক সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেছে। তারা ঢাকার গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে দুইজন শিশুসহ চারজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। অগ্নিদগ্ধ করেছে আরো অনেককে। আমরা এ ঘৃণ্য সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিএনপি জামাত অপশক্তি দেশকে ধ্বংস করতে চায়। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, ৭৫-এর ঘাতক দল, এদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করতে চায়। কানাডার ফেডারেল রায় অনুযায়ী বিএনপি আবারো প্রমাণ করলো তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভোট অর্জনের ডাক দিয়েছে এবং তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচন বিরোধী অপপ্রচার করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কোন অপশক্তির কাছে কখনো মাথা নত করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষক সাংবাদিক যারা এসেছেন তাঁরাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
তিনি বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র হরণকারী দল। মানুষের অধিকার হরণ করাই বিএনপির কাজ। তারা একটি গুজব পার্টি। তারা গুজব ছড়াচ্ছে। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান তাদের গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। নির্বাচনে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নিয়েছে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করুন। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিয়োজিত আছেন আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্র আসুন। কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন না। যারা ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করুন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন, বিএনপি যেন নাশকতা করতে না পারে। আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। কেউ যেন বিজয় ছিনিয়ে না নিতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে আবার সরকার গঠন করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে নেতৃত্ব দেবেন। বিএনপি-জামাত নির্বাচনের পরেও সন্ত্রাস চালিয়ে যেতে পারে। এর কঠোর জবাব দিতে হবে। তাদের বিচার হবে। সন্ত্রাস চালিয়ে বিএনপিকে কোথাও রাজপথে দাঁড়াতে দেব না। আমরা কঠোর হতে জানি সময় মত সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।