নির্বাচন বর্জনে হরতাল চলছে, প্রভাব নেই জনজীবনে
- আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে থমথমে হয়ে উঠেছে রাজধানী। একদিকে হরতালের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করছে বিএনপি-জামায়াত, অন্যদিকে বাস-ট্রেনে নাশকতার ঘটনাও বাড়ছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে দগ্ধ কয়েকজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও রাতে রাজধানীর ডেমরায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি সন্ধ্যায় মগবাজারে নির্বাচন বিরোধী মশাল মিছিলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের বিপরীত পাশের রাস্তায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে ভোটের আগের দিন হরতালে সড়কে পরিবহন কম থাকলেও এর প্রভাব দেখা যায়নি জনজীবনে। তবে প্রতিটি মোড়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে, ট্রেনে নাশকতার পর রাতেই গোপীবাগের কাছাকাছি একটি বস্তি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ৬ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত (৪৮ ঘণ্টা) দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা হরতাল শুরু হয়েছে।এদিকে বিএনপির কর্মসূচির সমর্থনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জামায়াতসহ আন্দোলনরত সমমনা দলগুলোও হরতাল পালন করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার সড়কে অন্যান্য দিনের মতোই সাধারণ মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন। সড়কগুলোতে সব ধরনের যানবাহন নামতে শুরু করেছে। তবে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন সংখ্যার তুলনায় কিছুটা কম।
এদিকে হরতালের প্রথম দিনে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ওই সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। একতরফা নির্বাচন আয়োজন করতে পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। আগেও অগ্নিসন্ত্রাসের নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছিল।
গত ৪ জানুয়ারি এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ডাক দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ওই দিন রিজভী অভিযোগ করে বলেন, একতরফা নির্বাচনে সরকার নিজেরা পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ঘটিয়ে বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। এছাড়া সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত হামলা করছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এসব হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে হরতালের ঠিক আগ মুহূর্তে রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে নাশকতা। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে দগ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া রাতে রাজধানীর ডেমরায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি সন্ধ্যায় মগবাজারে নির্বাচনবিরোধী মশাল মিছিলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের বিপরীত পাশের রাস্তায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।