পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসি মোট ১২৭ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক দেশে চলে এসেছেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়, নিরাপত্তা এবং দূরত্বের কারণে বিদেশি পর্যবেক্ষরা চাইলেই যেকোনো ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন না। এ প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন জানান, সড়কপথে হোটেল সোনারগাঁও থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে থাকা কেন্দ্রে যেতে পারবেন নিবন্ধিত পর্যবেক্ষকরা। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিমানে যোগাযোগ আছে-এমন জেলাগুলোতে তারা যেতে পারবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং ৭৩ জন সাংবাদিক ইসির নিবন্ধন পেয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন (এএনএফআরইএল)। তারা বলছে, এএনএফআরইএল জোরালোভাবে বিশ্বাস করে, এই নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘাটতি রয়েছে। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বৈধতার জন্য অত্যাবশ্যক গণতন্ত্রের মূলনীতিসমূহ এবং আন্তর্জাতিক নির্বাচনী মানদণ্ড অনুসৃত হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এএনএফআরইএলের মতে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া অংশগ্রহণমূলক না হাওয়া এবং জবাবদিহির অভাবে এতে স্বচ্ছতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে বিরোধীদের দমন, রাজনৈতিক স্বাধীনতার সংকোচন, নিরপেক্ষ তথ্যে নাগরিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত হওয়া এবং রাজনৈতিক সহিংসতা চলমান থাকার মতো চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত সূত্রে জানা যায়, তারা ভোটে বাধা দিতে চায় না বরং ভোটারদের বুঝিয়ে ভোট দিতে আসা থেকে বিরত রাখতে চায়, যাতে তাদের কেন্দ্রে কম ভোটার উপস্থিতির লক্ষ্য পূরণ হয়।