নির্বাচন স্বচ্ছ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: সিইসি
- আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচন স্বচ্ছ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বিদেশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন সবসময় শান্তিপূর্ণ হয় না। প্রার্থীদের সমর্থকরা আবেগের বশে অনেক সময় শান্তিপূর্ণ ভোটে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ভোটের দিন সকালে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে। আমরা সব প্রার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, ভোট কর্মকর্তাদের সহায়তা করতে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। আমাদের নির্বাচন দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই বিভিন্ন পোলিং স্টেশনে যাবেন এবং পর্যবেক্ষণ করবেন। বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে।’
সিইসি বলেন, ‘যারা এই নির্বাচন সিলেকশন বলছে, তারা নিজের বোধ থেকে বলছে। এটা রাজনৈতিক পরিমন্ডলে থাকবে। আগাম গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ড থাকে না। নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করছে ইসি। এবারের নির্বাচন দেশে ও বিদেশে বিশ্বাসযোগ্য হবে।’
কোনো একটি পক্ষ নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এটা একটা সংকট দেখা দিতে পারে। তবে কমিশন চেষ্টা করছে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার।’
সিইসি বলেন, ‘শুধু দেশীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও আমরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে চাই।এজন্য শুধু দেশের নয় বিদেশি পর্যবেক্ষকদেরও আমরা পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছি। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। অনেক সময় প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা উত্তেজনা ছড়ায়, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রার্থীদের নিশ্চিত করতে হবে তাদের পোলিং এজেন্টরা যেন ভোটকেন্দ্রে থাকে। ৪টার মধ্যে ভোট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ভোটাররা উপস্থিত থাকলে ৫-৬টা পর্যন্ত ভোট চলবে। নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতায় কোনো সুস্পষ্ট মানদন্ড থাকে না, এটি আপেক্ষিক।’
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনার ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘গতকাল ট্রেনে কে আগুন লাগিয়েছে জানি না, তবে তা বেদনাদায়ক। অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা হতে পারে। অগ্নিকাণ্ড করা অমার্জনীয় অপরাধ।’
ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করেছে, তারা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সহিংসতা করবে না। এই প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করা উচিত। নির্বাচনে যেতে বাধা দেওয়া হবে—এমনটি হয়তো হবে না। আগুন দেওয়ার ঘটনা জনগণকে আতংকিত করার চেষ্টা হতে পারে, তবে এটি অপরাধ।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটগ্রহণের সময় যদি কারচুপি–ভোটচুরি হয়, তার কিছুটা দায়ভার আমাদের ওপর পড়বে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমেরিকা অবাধ নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়, আমরা সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কমিশন নির্বাচনের পথে বাধা নয়। সবাইকে নির্বাচনে আসার জন্য কমিশন আহ্বান জানিয়েছে। কারা হরতাল অবরোধ দিচ্ছে, কারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে—আমেরিকা দেখছে। তাই আমরা ভিসানীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।’