ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এই নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ভোট বর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না।

আজ রোববার দুপুরে গুলশানের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ড. মঈন খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সাল ২০১৪ সাল নয়। গত কয়েকদিনে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যেসব নিউজ প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তারা বলেছে তারা (আওয়ামী লীগ) ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করছে। এটা একটা ভুয়া নির্বাচন। কাল সারা দুনিয়া এই নির্বাচন নিয়ে রিপোর্ট করবে।

আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ড. আব্দুল মঈন খান একথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, “সরকারের সাজানো নির্বাচনের যে নাটক, আজকে সকাল থেকে সেই অংকের শেষ অংশ মঞ্চায়ন হচ্ছে। মজার কথা হচ্ছে এই যে, গত এক বছর ধরে আমরা যে কথাটি বলে আসছিলাম—বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারকে বর্জন করেছে। সেই কথাটি আজকে নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে জনগণ দেশে এবং বিদেশে সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, “সকালে ভোট যখন শুরু হয়, তার আগে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ছবি আমরা সংগ্রহ করেছি এ পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রগুলো যে ভোটারশূন্য কেবলমাত্র তাই নয়, আমাদের মনে পড়ছে আজকে থেকে ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির কথা। যেদিন আমরা দেখেছিলাম, ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেয় না, কুকুর-বিড়াল ভোট দেয়।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম, গত ১০ বছরে সরকার গণতন্ত্রকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, আজও শত শত কেন্দ্র শূন্য। এখানে কোনো ভোটার নেই। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে আজকে শীতের সকালে কুকুর রোদ পোহাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আজকের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন, সেই প্রহসনের বাস্তবতা।”

এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, “বারবার বলেছি আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কারণ আমরা নীতিগতভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং বলি গণতন্ত্র একটি নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো রকমের অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করি তাহলে আমরা বিশ্বাস করি এটা নৈতিকভাবে সঠিক হবে না এবং আমাদের সেই নৈতিক আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই এবং জনগণের সমর্থন পেয়েছি। সেই বিশ্বাস আছে বলেই আমরা ঘোষণা দিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করে যাব।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এই নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না: মঈন খান

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ভোট বর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না।

আজ রোববার দুপুরে গুলশানের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ড. মঈন খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সাল ২০১৪ সাল নয়। গত কয়েকদিনে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যেসব নিউজ প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তারা বলেছে তারা (আওয়ামী লীগ) ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করছে। এটা একটা ভুয়া নির্বাচন। কাল সারা দুনিয়া এই নির্বাচন নিয়ে রিপোর্ট করবে।

আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ড. আব্দুল মঈন খান একথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, “সরকারের সাজানো নির্বাচনের যে নাটক, আজকে সকাল থেকে সেই অংকের শেষ অংশ মঞ্চায়ন হচ্ছে। মজার কথা হচ্ছে এই যে, গত এক বছর ধরে আমরা যে কথাটি বলে আসছিলাম—বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারকে বর্জন করেছে। সেই কথাটি আজকে নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে জনগণ দেশে এবং বিদেশে সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, “সকালে ভোট যখন শুরু হয়, তার আগে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ছবি আমরা সংগ্রহ করেছি এ পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রগুলো যে ভোটারশূন্য কেবলমাত্র তাই নয়, আমাদের মনে পড়ছে আজকে থেকে ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির কথা। যেদিন আমরা দেখেছিলাম, ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেয় না, কুকুর-বিড়াল ভোট দেয়।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম, গত ১০ বছরে সরকার গণতন্ত্রকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, আজও শত শত কেন্দ্র শূন্য। এখানে কোনো ভোটার নেই। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে আজকে শীতের সকালে কুকুর রোদ পোহাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আজকের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন, সেই প্রহসনের বাস্তবতা।”

এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, “বারবার বলেছি আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কারণ আমরা নীতিগতভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং বলি গণতন্ত্র একটি নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো রকমের অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করি তাহলে আমরা বিশ্বাস করি এটা নৈতিকভাবে সঠিক হবে না এবং আমাদের সেই নৈতিক আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই এবং জনগণের সমর্থন পেয়েছি। সেই বিশ্বাস আছে বলেই আমরা ঘোষণা দিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করে যাব।”