ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় ইসরাইলি হামলায় সংবাদকর্মী নিহত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় এক সংবাদকর্মী ও এক প্রতিবেদকের ছেলে নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বার্তা সংস্থা এএফপির মুস্তফা থুরায়া এবং অন্যজন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ওয়ায়েল দাহদোহের ছেলে হামজা।

এএফপির ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করতেন মুস্তফা। আর আল জাজিরার নিজস্ব প্রতিবেদকের ছেলে ছিলেন হামজা। রোববারও তারা ইসরাইলি হামলার খবর সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যেই হামলার শিকার হয় তাদের বহনকারী যানটি।

হামজার বাবা ওয়ায়েল আল-দাহদুর আল জাজিরার গাজা ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে গত ৭ই অক্টোবরে যুদ্ধের দু’সপ্তাহ পরে ইসরাইলের হামলায় দাহদুর মাসহ পরিবারের চার সদস্য প্রাণ হারান। এর কয়েকদিন পর তার বাবাও দখলদার বাহিনীটির হামলায় আহত হন।

এবার ছেলেকে হারিয়ে ফের বাকরুদ্ধ আল জাজিরার এই সাংবাদিক। এর পরেও দৃঢ় মনোবল নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এগিয়ে যাবো। গাজায় কী হচ্ছে, কী ধরনের বর্বরতা চলছে তা বিশ্ববাসীকে দেখা উচিত।

রোববার (৭ জানুয়ারি) গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রাফাহতে এই দুই সাংবাদিককে বহনকারী গাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, সেটিকে নিরাপদ করিডোর হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইসরাইল। এই হামলা চালানোর পর ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (আইডিএফ) কাছে যোগাযোগ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংবাদিক সংগঠন ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ জানিয়েছিল, গত বছর ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ ফিলিস্তিনি, চার ইসরাইলি ও তিন লেবাননের সাংবাদিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরাইলি হামলায় সংবাদকর্মী নিহত

আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় এক সংবাদকর্মী ও এক প্রতিবেদকের ছেলে নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বার্তা সংস্থা এএফপির মুস্তফা থুরায়া এবং অন্যজন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ওয়ায়েল দাহদোহের ছেলে হামজা।

এএফপির ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করতেন মুস্তফা। আর আল জাজিরার নিজস্ব প্রতিবেদকের ছেলে ছিলেন হামজা। রোববারও তারা ইসরাইলি হামলার খবর সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যেই হামলার শিকার হয় তাদের বহনকারী যানটি।

হামজার বাবা ওয়ায়েল আল-দাহদুর আল জাজিরার গাজা ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে গত ৭ই অক্টোবরে যুদ্ধের দু’সপ্তাহ পরে ইসরাইলের হামলায় দাহদুর মাসহ পরিবারের চার সদস্য প্রাণ হারান। এর কয়েকদিন পর তার বাবাও দখলদার বাহিনীটির হামলায় আহত হন।

এবার ছেলেকে হারিয়ে ফের বাকরুদ্ধ আল জাজিরার এই সাংবাদিক। এর পরেও দৃঢ় মনোবল নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এগিয়ে যাবো। গাজায় কী হচ্ছে, কী ধরনের বর্বরতা চলছে তা বিশ্ববাসীকে দেখা উচিত।

রোববার (৭ জানুয়ারি) গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রাফাহতে এই দুই সাংবাদিককে বহনকারী গাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, সেটিকে নিরাপদ করিডোর হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইসরাইল। এই হামলা চালানোর পর ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (আইডিএফ) কাছে যোগাযোগ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংবাদিক সংগঠন ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ জানিয়েছিল, গত বছর ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০ ফিলিস্তিনি, চার ইসরাইলি ও তিন লেবাননের সাংবাদিক।