চলতি বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন। হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমানো, হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মিনা-আরাফায় তাঁবু ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং হজের ১০ দিন আগে এজেন্সিকে তাঁবু বুঝিয়ে দেওয়াসহ সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি সরকার।
সোমবার (৮ জানুয়ারি)সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় রাজকীয় সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি ২০২৪ সম্পাদিত হয়েছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সৌদি হজ ও ওমরাহ উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত এবং বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। এ সময় সৌদি সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হাব সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম, পরিচালক (হজ অফিস) সাইফুল ইসলাম, কাউন্সেলর (হজ) জেদ্দা জহিরুল ইসলাম এবং কনসাল (হজ) জেদ্দা আসলাম উদ্দিন উপস্হিত ছিলেন।
এর আগে এক সভায় সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৌদি সরকারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের বিস্তারিত আলোচনা হয়। হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে অন্যান্য বছরের মতো সব এজেন্সিকে রেখে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সৌদি উপমন্ত্রীকে জোরালো অনুরোধ করেন হাব সভাপতি। এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে আগের মতো রাখা হলে হজযাত্রীদের সেবাদানে সুবিধা হবে। বাংলাদেশি বয়োবৃদ্ধসহ সব হজযাত্রীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমানোর পক্ষে বিস্তারিত যুক্তি তুলে ধরে সৌদি উপমন্ত্রীকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান হাব সভাপতি। সৌদি উপমন্ত্রী তা বিবেচনার আশ্বাস দেন।
হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ও ব্যবস্হাপনার উন্নয়ন, মিনা-আরাফায় তাঁবু ব্যবস্হাপনার উন্নয়ন এবং হজের ১০ দিন আগে এজেন্সিকে তাঁবু বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করেন হাব সভাপতি।
সভায় ধর্ম সচিব ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান মু. আ. হামিদ জমাদ্দার হজ ব্যবস্হাপনার বিভিন্ন বিষয় এবং হজযাত্রীদের সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।