ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বুধবার বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের সচিবালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

আজই প্রকাশ হতে পারে নির্বাচিতদের গেজেট। নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে। নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওদিনই বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকালেই নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবারের (৯ জানুয়ারি) মধ্যে গেজেট ইসির হাতে পৌঁছাতে পারে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, গেজেট পেলে মঙ্গলবারই সেটা প্রকাশ করা হতে পারে। আইন অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে।

সংবিধানের ১৪৮-এর ২(ক) ও ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যেকোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।’

এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হয়। তবে ভোটের কতদিনের মধ্যে গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

নবনির্বাচিতদের বরণ করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। দ্বাদশ সংসদের নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ সদস্যের (এমপি) শপথের আগে নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমে শিরীন শারমিন নিজেই শপথ নেবেন। এরপর তিনি অন্যদের শপথ পাঠ করাবেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানের পরই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিলে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এখন সংসদ সদস্যদের শপথ এবং মন্ত্রিসভা গঠনের আলোচনা ও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি বুধবার ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। এ সমাবেশ অনেকটা বিজয় সমাবেশ হিসেবেই রূপ নেবে। সে কারণে বৃহস্পতিবার শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, জাতীয় সংসদে বিরোধীদল কোনটি হবে, তা স্পষ্ট নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বাইরে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, বিরোধীদল কারা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সংসদ সদস্যদের শপথের বিষয়টি জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ ও মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের কাজে দাপ্তরিক সহায়তা দিয়ে থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্বাচনের পরের দিন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট শাখা এসব নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।

যেহেতু নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে মন্ত্রিসভা আছে, সেক্ষেত্রে বর্তমান সংসদের মেয়াদ ও মন্ত্রীদের পদে থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। মন্ত্রীদের পদের মেয়াদের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে (৫৮/৪) বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে, তবে এ পরিচ্ছেদের বিধানাবলী-সাপেক্ষে তাদের উত্তরাধিকারীরা কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত তারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকবেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদের বিষয়ে সংবিধানে (৫৭/৩) বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকতে এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করবে না।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ বর্তমানে প্রায় সাড়ে চারশর মতো সংসদ সদস্য রয়েছেন। আগের সংসদের মেয়াদ চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত। আর মন্ত্রীদের মেয়াদ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ নিয়ে জটিলতা নেই। বিষয়টি সংবিধানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

রীতি অনুযায়ী, নবনির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিনের মধ্যে গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সারাদেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভোট হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষক দল। নির্বাচন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন, কানাডা, গাম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা অভিনন্দন জানিয়েছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বুধবার বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ

আপডেট সময় : ০৬:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে টানা চারবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের সচিবালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

আজই প্রকাশ হতে পারে নির্বাচিতদের গেজেট। নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে। নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওদিনই বেসরকারিভাবে ফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকালেই নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবারের (৯ জানুয়ারি) মধ্যে গেজেট ইসির হাতে পৌঁছাতে পারে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, গেজেট পেলে মঙ্গলবারই সেটা প্রকাশ করা হতে পারে। আইন অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে।

সংবিধানের ১৪৮-এর ২(ক) ও ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যেকোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।’

এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হয়। তবে ভোটের কতদিনের মধ্যে গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

নবনির্বাচিতদের বরণ করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। দ্বাদশ সংসদের নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ সদস্যের (এমপি) শপথের আগে নতুন সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমে শিরীন শারমিন নিজেই শপথ নেবেন। এরপর তিনি অন্যদের শপথ পাঠ করাবেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানের পরই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিলে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এখন সংসদ সদস্যদের শপথ এবং মন্ত্রিসভা গঠনের আলোচনা ও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি বুধবার ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। এ সমাবেশ অনেকটা বিজয় সমাবেশ হিসেবেই রূপ নেবে। সে কারণে বৃহস্পতিবার শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, জাতীয় সংসদে বিরোধীদল কোনটি হবে, তা স্পষ্ট নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বাইরে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, বিরোধীদল কারা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সংসদ সদস্যদের শপথের বিষয়টি জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ ও মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের কাজে দাপ্তরিক সহায়তা দিয়ে থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্বাচনের পরের দিন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট শাখা এসব নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।

যেহেতু নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে মন্ত্রিসভা আছে, সেক্ষেত্রে বর্তমান সংসদের মেয়াদ ও মন্ত্রীদের পদে থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। মন্ত্রীদের পদের মেয়াদের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে (৫৮/৪) বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে, তবে এ পরিচ্ছেদের বিধানাবলী-সাপেক্ষে তাদের উত্তরাধিকারীরা কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত তারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকবেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদের বিষয়ে সংবিধানে (৫৭/৩) বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকতে এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করবে না।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ বর্তমানে প্রায় সাড়ে চারশর মতো সংসদ সদস্য রয়েছেন। আগের সংসদের মেয়াদ চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত। আর মন্ত্রীদের মেয়াদ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ নিয়ে জটিলতা নেই। বিষয়টি সংবিধানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

রীতি অনুযায়ী, নবনির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিনের মধ্যে গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সারাদেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভোট হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষক দল। নির্বাচন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন, কানাডা, গাম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা অভিনন্দন জানিয়েছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।