দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বামীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন স্ত্রীরা। যদিও প্রার্থিতা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তাদের কোনো প্রচার-প্রচারণা ছিল না। তবুও ভোটের এ যুদ্ধে নেমেছিলেন তারা।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে তরমুজ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা, স্বামী নৌকার প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নৌকা মার্কায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। সেখানে তার স্ত্রী লুবনা পেয়েছেন ৩৪৫ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তবলা প্রতীকে মাহমুদা বেগম নির্বাচন করেছেন স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহর সঙ্গে। ঈগল প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ। সেখানে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে কানিজ ফাতেমা নির্বাচন করেছেন স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান সুমনের সঙ্গে। ঈগল প্রতীক নিয়ে ৫৬ হাজার ৮০১টি ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সুমন।
গাইবান্ধা-২ (গাইবান্ধা সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সরোয়ার কবির ট্রাক প্রতীক ও মোসা. মাসুমা আখতার ঈগল পাখি প্রতীক পান। শাহ সরোয়ার কবির ও মোসা. মাসুমা আখতার স্বামী-স্ত্রী। ভোটের লড়াইয়ে ৬৪ হাজার ১৯০টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সরোয়ার কবির।
এদিকে বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। যারা কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত। সে হিসেবে স্বামীরা নির্বাচনে জিতে গেলেও জামানত হারিয়েছেন স্ত্রীরা।