০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলেও বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে দেশটি। তবে দেশটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ে সাধারণ রূপকল্প আছে তা এগিয়ে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী। একইসঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও ভাষ্য ওয়াশিংটনের।

ওয়াশিংটন স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রর অবস্থান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে যে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দলের হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীর গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিনের অনিয়মের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এই মতামত শেয়ার করে যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না এবং আমরা দুঃখিত যে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন ইস্যুতে সাম্প্রতিক নানা সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে এসব ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময় এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে তার নিন্দা করছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে ও অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে উৎসাহিত করি। আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানাই।’

বিবৃতিতে আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো–প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লখ্য, গত রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এতে আওয়ামী লীগ জোট ২২৪টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২ এবং কল্যাণ পার্টি একটি আসনে জয়লাভ করে।

এরই মধ্যে রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ কয়েকটি দেশ নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০৬:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলেও বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে দেশটি। তবে দেশটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ে সাধারণ রূপকল্প আছে তা এগিয়ে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী। একইসঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও ভাষ্য ওয়াশিংটনের।

ওয়াশিংটন স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রর অবস্থান জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে যে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দলের হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীর গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিনের অনিয়মের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এই মতামত শেয়ার করে যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না এবং আমরা দুঃখিত যে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন ইস্যুতে সাম্প্রতিক নানা সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে এসব ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময় এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে তার নিন্দা করছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে ও অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে উৎসাহিত করি। আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানাই।’

বিবৃতিতে আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো–প্যাসিফিক) অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করা, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লখ্য, গত রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এতে আওয়ামী লীগ জোট ২২৪টি আসনে জয়লাভ করে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২ এবং কল্যাণ পার্টি একটি আসনে জয়লাভ করে।

এরই মধ্যে রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ কয়েকটি দেশ নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।